বিএনপির বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও নির্বাচনে গণফোরাম থেকে বিজয়ী দুজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন।
তিনি শনিবার দলের এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেছেন, তারা বিষয়টি ‘ইতিবাচক’ দৃষ্টিতে দেখছেন এবং ‘ইতিবাচক’ সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তোলার পর তাদের জোট থেকে বিজয়ীদের শপথ নেওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টিসহ তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের সবাই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও উপস্থিত ছিলেন না ঐক্যফ্রন্ট থেকে ভোটে বিজয়ী বিএনপির পাঁচ এবং গণফোরামের দুজন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সেদিন সরাসরি বলেছিলেন, ‘শপথ তো পার হয়ে গেছে, প্রত্যাখ্যান করলে শপথ থাকে নাকি আর?… আমরা শপথ নিচ্ছি না, পরিষ্কার করে বললাম।’
তার দুদিন পর শনিবার গণফোরামের এক বৈঠকের পর তোপখানা সড়কে শিশুকল্যাণ পরিষদের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিন্ন কথা শোনালেন দলটির সভাপতি কামাল।
গণফোরাম থেকে নির্বাচিত দুজন শপথ নিচ্ছেন কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছি। যে দুজন প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন, তারা তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা তাদের বিষয়ে ইতিবাচকভাবে সিদ্ধান্ত নেব।’
গণফোরাম থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে জয়ী হয়েছেন সাবেক ডাকসু ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
সিলেট-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে জয়ী গণফোরামের মুকাব্বির খান দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে ভোট করেন।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বিএনপি যেহেতু শপথ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তাদের প্রতীকে ভোট করে গণফোরাম সদস্য শপথ নিলে তা দুই দলের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করবে কি না?
উত্তরে কামাল বলেন, ‘আমার মনে হয় হয় না।’
সংবাদ সম্মেলনে সুলতান মনসুরও ছিলেন। এছাড়া সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিকসহ ছিলেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।