৭ জানুয়ারি সোমবার নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভা কত সদস্যবিশিষ্ট হচ্ছে সেটা নিয়ে দেশব্যাপী নানা আলোচনা ও গুঞ্জন চলছে। মন্ত্রিসভার আকার বড় হবে নাকি ছোট হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য আছেন ৫৩ জন। তবে নতুন মন্ত্রিসভার কলেবর কিছুটা বাড়ানোর পাশাপাশি এবারের মন্ত্রিসভায় তরুণদের প্রাধান্য থাকতে পারে বলেও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যই নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন। বয়সের ভারসহ নানা কারণে ১০/১২ জন বাদ পড়ছেন; তাদের জায়গায় স্থান পেতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী, অভিজ্ঞ ও তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রিয় সংসদ সদস্যরা। সরকারের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিসভার আকার বড় করার চিন্তাভাবনাও করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা সংবাদকে জানান, মন্ত্রিসভার আকার কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ গত কয়েক বছরে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে বিভাগ চালু করা হয়েছে। এগুলোকে পরিচালনায় অধিকতর গতিশীলতা আনতে নতুন মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হতে পারে। কেউ কেউ দুই বিভাগ পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে বিজয় অর্জনের পর ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় মন্ত্রিসভা। ওই সময় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী ছিলেন। কয়েক দফা রদবদলের পর সর্বশেষ মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ জনে।
গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলাফলে দেখা গেছে, ২৮৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৯, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ২০, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩, জাসদ ২, বিকল্পধারা ২, তরিকত ফেডারেশন ১, জেপি ১টিতে জয়ী হয়েছে।
আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র সাতটি (বিএনপি ৫, গণফোরাম ২) আসন। স্বতন্ত্রসহ অন্যরা জয় পেয়েছে ৩টি আসনে।