সফররত জাপানের অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ বিষয়ক মন্ত্রী তোশিমিতসু মোটেগি বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের প্রধান উন্নয়ন ক্ষেত্র, বিশেষ করে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি খাতে জাপান বিনিয়োগে আগ্রহী।’
জাপানের মন্ত্রী তোশিমিতসু মোটেগি আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে এ কথা বলেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তোশিমিতসু মোটেগি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের মহান উন্নয়ন সহযোগি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার গোড়া পত্তন করেছিলেন।
জাপানের মন্ত্রী সাক্ষাতে সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয় বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
তিনি দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের চলমান মেয়াদে বাংলাদেশ এবং জাপানের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে।
জাপানের মন্ত্রীকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাপান বাংলাদেশের পুরনো বন্ধু হিসেবে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
জাপান বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের মডেল, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং প্রতিটি গ্রামকে শহরের নাগরিক সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলায় তাঁর সরকারের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপও তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী আইটি পার্কগুলোতে তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ এবং গভীর সমুদ্রে মৎস আহরণের জন্য জাপানের সহযোগিতা জন্য প্রস্তাব করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেবিকা নেয়ার জন্য জাপানের মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানালে জাপানের মন্ত্রী ও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন, জানান প্রেস সচিব।
শেখ হাসিনা বৈঠকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের পুনরোল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
জাপানের মন্ত্রী এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনকালিন অভিজ্ঞতা বিনিময়কালে বলেন, এই মহান নেতার বিভিন্ন স্মৃতি এবং তথ্যাদি দেখে তিনি হতবিহবল হয়ে পড়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।