বিএসটিআইর অভিযানে ৪ হাজার পানির জার ধ্বংস

বিভিন্ন কোম্পানির চার হাজার পানির জার ধ্বংস করেছে বিএসটিআই। দেশের একমাত্র মান সংস্থার অনুমোদন না নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের জারে খাওয়ার পানি বাজারজাত করায় এগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর রমনা, ফকিরেরপুল, বঙ্গবাজার, মতিঝিল, কাপ্তানবাজার, নবাবপুর, ইংলিশ রোড ও বাবুবাজার ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এবং কেরানীগঞ্জের কদমতলী ও শহীদনগর এলাকায় ভোররাত থেকে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে এসব জার ধ্বংস করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিএসটিআই। পাশাপাশি সংস্থার পরিদর্শন দল জার ভর্তি করার কাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতিও ধ্বংস করে।

অভিযানের সময় বিভিন্ন হোটেল, দোকানপাট এবং উপস্থিত ক্রেতা ও ভোক্তাদের অবৈধভাবে বাজারজাত করা জারের ড্রিংকিং ওয়াটার কেনা ও বিক্রি থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

এদিকে, বিএসটিআইর লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে ঢেউটিন উৎপাদন এবং বিক্রির অপরাধে কেরানীগঞ্জের ‘বিকাশ কাটিং অ্যান্ড করোগেটেড ইন্ডাস্ট্রিজে’র বিরুদ্ধে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সাত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা: অন্যদিকে ওজন ও পরিমাপে কারচুপির অপরাধে মিরপুরের সাত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসটিআই।

সংস্থার পরিদর্শন দল কাজীপাড়ায় কাসারিকা ফার্নিশিং এবং ডি গ্যালারি নামের পর্দার কাপড়ের দোকানের বিরুদ্ধে গজকাঠি ব্যবহার করায় মামলা করে। একই এলাকার মোহাম্মদ ডি ফল ভাণ্ডার, বনফুল অ্যান্ড কোং ও মিরপুর-২-এর বড় বাগবাজার এলাকার হক বেকারি অ্যান্ড সুইটস পণ্যের প্যাকেটে ওজন ও মূল্য উল্লেখ না করায় মামলা করা হয়। মিরপুর-১০ নম্বরের জনতা ফুডস স্টোর ও সাহাদাৎ হোসেনের ফলের দোকানে ব্যবহৃত ডিজিটাল স্কেলে বিএসটিআইর ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট না নেওয়ায় মামলা করা হয়।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ