১০টি ব্র্যান্ডের পানি নিম্নমানের, ৩টির লাইসেন্স বাতিল

দেশের বাজারে থাকা অনুমোদিত ১০টি ব্র্যান্ডের বোতল ও জারের পানি নিম্নমানের বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন-বিএসটিআই।

মঙ্গলবার হাইকোর্টে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টির লাইসেন্স স্থগিত ও ৩টির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম (ফরিদ) জানান, আজকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পক্ষভূক্ত হয়েছে। শুনানিতে আদালত পানি নিয়ে আমাদের কার্যক্রম জানতে চেয়েছেন। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মো. মোখলেছুর রহমান। রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. জে আর খাঁন রবিন। এর আগে ২১ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে ১৫টি ব্র্যান্ডের (জার ও বোতলের) খাবার পানি পরীক্ষা করে ৫টিকে মানহীন জানিয়েছিল বিএসটিআই।

লাইসেন্স স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো —সেফ ইন্টারন্যাশনালের ‘ক্যানি’ ব্র্যান্ড(জার), সিনহা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেডের ‘এ্যাকুয়া মিনারেল’ ব্র্যান্ড(ছোট বোতল), এএসটি বেভারেজ লি. এর‘আলমা’ ব্র্যান্ডের (ছোট বোতল), মেসার্স ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজ এর ‘সিএফবি’ ব্র্যান্ড (জার), মেসার্স ইউরোটেক ট্রেড এন্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ ব্র্যান্ড (জার), ইউনিটি এগ্রো বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ এর ‘এপিক’ ব্র্যান্ড (জার), ফ্রুটস এন্ড ফ্লেভার্স এর ‘ইয়াম্মী ইয়াম্মী’ ব্র্যান্ড (পেট বোতল)।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হলো— আনন্দ ফুড এন্ড বেভারেজ এর ‘আনন্দ প্লাস’ ব্র্যান্ড (জার), রিয়েল ফুড এন্ড বেভারেজ এর ‘রিয়েল ফার্স্ট’ ব্র্যান্ড (জার), বেস্টওয়ান ড্রিংকিং এর বেস্ট ওয়ান।

গত ১ জানুয়ারী থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিএসটিআইয়ের এক জরিপের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্য ৬৯টি সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনা করে ৩৩৫৭৫টি অবৈধ পানির জার/জব্দ, ৬৫ টি নিয়মিত মামলা করা হয়।

পরীক্ষার জন্য বাজার থেকে ২৮টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২টির প্রতিবেদনের মধ্যে ১২টি মান সম্মত এবং ১০টি নিম্নমানের। এ ১০টিকে শো’কজের পর ৩টি কোম্পানি জবাব দেয়নি। তাই তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকি ৭টি শো’কজের জবাব দিয়ে মান উন্নয়নের জন্য সময় চেয়েছে। এ কারণে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া, লাইসেন্স না থাকায় ৩৬ কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।

জাতীয় শীর্ষ সংবাদ