চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পর এবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করেছেন মোহাম্মদ মামুন আলী নামে এক যাত্রী।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে এই ঘটনা ঘটে। মামুনের সঙ্গে থাকা পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি নিয়ে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে প্রথম তল্লাশি পার হওয়ার পর নিজের সঙ্গে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীর কাছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১৩১ ফ্লাইটে সিলেটে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন মামুন আলী। তিনি কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বিমানবন্দরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে পিস্তল ও গুলি থাকলেও অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের প্রথম গেটের আর্চওয়েতে তার শরীর তল্লাশি করেন আনসার সদস্য রিপন।
তবে মামুনের দাবি, তিনি বিমানবন্দরের প্রথম নিরাপত্তা তল্লাশি পার হয়ে যান। সেখানে তার সঙ্গে থাকা গুলিসহ পিস্তল শনাক্ত করতে পারেনি সে সময় তল্লাশিতে নিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মীরা।
মামুন আরও দাবি করেন, তল্লাশি শেষ হওয়ার পর নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে তিনি জানতে চান- তাদের চেকিং শেষ হয়েছে কিনা? জবাবে দায়িত্বরত আনসার সদস্য ‘হ্যাঁ’ বললে মামুন ওই নিরাপত্তাকর্মীকে বলেন, আপনি কী চেক করলেন? আমার কাছে তো পিস্তল আছে। পরে পিস্তল বের করেন এবং এটির লাইসেন্স দেখান মামুন।
এদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরই উপস্থিত হন শাহজালাল বিমানবন্দরের অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) পরিচালক নূরে আলম সিদ্দিকী।
তিনি এসে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষকে ওই যাত্রী মামুনকে অফলোড করার জন্য বলেন। কিন্তু এভসেক থেকে লিখিত কোনো ডকুমেন্ট না দেয়ায় যাত্রী মামুনকে অফলোড করেনি ইউএস-বাংলা।
পরে মামুন এয়ারলাইন্সের নিয়ম মেনে পিস্তল ও গুলি সঙ্গে করে সিলেটে নিয়ে যান মামুন।
তবে এ ঘটনাটিকে মিডিয়া কাভারেজ পাওয়ার জন্য হীন প্রক্রিয়া অবলম্বন বলে মন্তব্য করেন বেসামরিক বিমান চলাচল এবং পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক। বলেন, এ ধরনের তামাশা করা সমীচীন নয়। অস্ত্র বহন করার আগে ঘোষণা দেয়া উচিত।