টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের তিন ছাত্রের লালসার ফাঁদে পড়ে বরিশালের গৌরনদীতে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী কয়েক দফা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।
পুলিশ রোববার রাতে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে প্রেমিকসহ তিন যুবক।
গৌরনদী উপজেলা সদরের উত্তর বিজয়পুর গ্রামের সেন্ট পিটার ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন জান্নাত মঞ্জিলের তৃতীয় তলায় ভাড়া থেকে পড়ালেখা করত শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের তিন ছাত্র সাজ্জাদ হোসেন শাওন, সরোয়ার হোসেন কামার ও মাহাফুজুল রহমান ওরফে সাদিক সরকার। পাশের বাড়ির বাসিন্দা এক মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে শাওনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে শাওন তার প্রেমিকাকে মোবাইল ফোনে জানায় সে খুব অসুস্থ। খবর পেয়ে সকালে ছাত্রীটি শাওনকে দেখতে শাওনের ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা দুই বন্ধু সরোয়ার ও মাহাফুজুলকে নিয়ে শাওন মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। গোপনে এর ভিডিও ধারণ করে রাখে তারা। পরে ওই ভিডিও ফেসবুকে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে তিন বন্ধু মিলে গত এক মাসে একাধিকবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে পৌর মেয়রের মধ্যস্থতায় রোববার থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই ধর্ষক সরোয়ার হোসেন কামার ও মাহাফুজুল রহমান ওরফে সাদিক সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ঘটনার মূল নায়ক সাজ্জাদ হোসেন শাওন গা-ঢাকা দিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রব হাওলাদার জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের তিন ছাত্রকে আসামি করে সোমবার দুপুরে গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেছেন। গ্রেফতারকৃত দু’জনকে থানা হাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পলাতক শাওনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।