দাঁতের সবচেয়ে কমন যেসব রোগ হয়ে থাকে, তার মধ্যে নিম্নলিখিত রোগগুলো উল্লেখযোগ্য।
ক্যারিজ, ক্যাভিটি অথবা ক্ষয়রোগ
মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ
মুখে দুর্গন্ধ
দাঁত শিরশির করা (ঠাণ্ডা, গরম, টক বা মিষ্টি খেলে)
দাঁতে ব্যাথা
দাঁত ধীরে ধিরে হলদেটে হয়ে যাওয়া
দাঁত নড়ে যাওয়া ইত্যাদি
শুধু বাংলাদেশ নয়, ২০১৫ সালের একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, সারা বিশ্বের প্রায় ৩২% মানুষ এই ডেন্টাল ক্যারিজে আক্রান্ত।
ক্যারিজ যার অর্থ ক্ষয়ে যাওয়া। এই ক্ষয় সামান্য থেকে শুরু করে অনেক বড় পর্যন্ত হতে পারে। সাধারণত দাঁতের প্রচুর খাঁজের মতো অংশে খাবার জমে এবং সেখান থেকেই ক্যারিজ শুরু হয়।
শর্করা জাতীয় খাদ্য এর হজম প্রক্রিয়া মুখগহ্বর থেকেই শুরু হয়। আমাদের মুখগহ্বরে প্রচুর ব্যাকটেরিয়ার বসবাস রয়েছে, যার মধ্যে একটি বড় ব্যাকটেরিয়া গ্রুপ এদের কাজ মূলত শর্করাকে ভেঙে এসিড তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা, যা শর্করা জাতীয় খাদ্য হজম প্রক্রিয়া শুরুর অন্যতম ধাপ। এই এসিড জাতীয় পদার্থ যদি মুখের ভেতরে বেশিক্ষণ থাকে তাহলে তা দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করতে শুরু করে। এখান থেকেই আস্তে আস্তে ক্ষয় হতে হতে এক সময় দেখা দেয় ডেন্টাল ক্যারিজ।
এখানে মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে, তাহলে এই ক্যারিজের প্রতিরোধ করার উপায় কী!
সেই উপায় হলো সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা। দিনে ব্রাশ করতে ভুলে গেলেও রাতে শোবার আগে অবশ্যই ব্রাশ করুন। নিজের বাচ্চাকে ব্রাশ করানোর অভ্যাস করুন। এই ছোট অভ্যাসটা আপনার বাচ্চার মুখের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবে।
বাইরে থেকে দেখতে হয়তো ক্যারিজটা অনেক ছোট মনে হতে পারে, কিন্তু ভিতরের দিকে অনেক বড় ব্যাপ্তি থাকতে পারে, যা ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়া খালি চোখে বোঝা সম্ভব না।
বছরে একবার বিডিএস ডিগ্রিধারী একজন ডাক্তার দ্বারা চেকআপ করিয়ে নিন।
লেখক : বিডিএস (ডিইউ) পিজিটি (ডিডিসি), বাংলাদেশ লেজার ডেন্টাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল কেয়ার, ধানমন্ডি, ঢাকা।