নাশতা না করার অভ্যাসে বাড়ে মৃত্যুঝুঁকি!

এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর যে জীবনে একবার বা দুইবার সকালের নাশতা না খেয়েই সারা দিন কাটিয়ে দেননি। সমস্যাটা একবার বা দুইবারের নয়, এমন মানুষের সংখ্যা এখন ক্রমেই বাড়ছে যাঁরা দিনের পর দিন সকালে কিছুু না খেয়েই কাটিয়ে দিচ্ছেন। অফিসে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে—এমন ভয়ে বেশির ভাগ মানুষই কিছুই না খেয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু যদি দীর্ঘদিন ধরে সকালে নাশতা না খান এবং রাতের খাবার অনেক দেরিতে খান, তাহলে মৃত্যু ও অন্যান্য হৃদরোগসংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি শুধুই বাড়াচ্ছেন আপনি। এমনটাই বলছেন গবেষকরা। ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেনটিভ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত এই গবেষণা বলছে, সকালের না খাওয়ার অভ্যাস মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা চার থেকে পাঁচগুণ বেশি। তা ছাড়া দ্বিতীয় হার্ট অ্যাটাকের শঙ্কাও বেড়ে যায়।

গবেষণার সহলেখক ব্রাজিলের সাওপাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির মার্কোস মিনিকুকি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের দুই খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের সঙ্গে যুক্ত। তবে এখানেই শেষ নয়, খারাপ অভ্যাসগুলো দীর্ঘদিন থাকলে এটি যেকোনো অসুস্থতাকেই আরো খারাপ করে তুলবে।’

গবেষকরা ৬০ বছর বয়সী ১১৩ জন রোগীর ওপর এ গবেষণা পরিচালনা করেন। তীব্র করোনারি সিন্ড্রোম রয়েছে-এমন রোগীদের এই অস্বাস্থ্যকর আচরণ নিয়ে গবেষণাটি করা হয়। এতে দেখা যায়, ৫৮ শতাংশ রোগীই সকালে নাশতা খেতেন না, অনেক দেরি করে রাতের খাবার খেতেন ৫১ শতাংশ মানুষ এবং ৪১ শতাংশ মানুষ এই দুটোই করতেন দিনের পর দিন। গবেষকরা বলেছেন, রাতের খাবার খাওয়া এবং ঘুমোতে যাওয়ার মধ্যে অন্তত দুই ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে। সকালের নাশতায় দুগ্ধজাত দ্রব্য (চর্বিহীন বা কম চর্বিযুক্ত দুধ, দই ও পনির), একটু কার্বোহাইড্রেট (গোটা আটার রুটি, বেগেল, শস্য) এবং গোটা ফল থাকা উচিত।
সূত্র : এনডিটিভি

Others শীর্ষ সংবাদ