এক প্রস্থ আলাপ আলোচনায় কোনো সমাধানের পথ মিলল না। বরং চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তাপের পারদ আরও কিছুটা বেড়ে গেল। কারণ চীনা পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করল ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও পাল্টা জবাব হিসেবে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। যদিও উভয় পক্ষই সমাধানসূত্রের খুঁজতে ফের আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি। পরের বৈঠক সম্ভবত বেইজিংয়ে হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রায় ২০,০০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের উপর ১০% শুল্ক বসায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপর গত ১০ মে থেকে ওই হার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫% করা হবে বলে জানান হয়। এখনও যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে আসা ৩২,৫০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যে উপর শুল্ক নেই। এবার ৩০,০০০ কোটি ডলারের চীনা পণ্যের উপর ২৫% হারে কর বসানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ ঠিক এর পরেই আবার চিনের হুমকি, যুক্তরাষ্ট্র এমন পথে ধরলে তারাও পাল্টা দেওয়ার পথে হাঁটবে তারাও।
চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এর অর্থ হল বেইজিংয়ের থেকে ওয়াশিংটনে যে পরিমাণ রফতানি করে তার তুলনায় ওয়াশিংটন থেকে বেজিংয়ে অনেক কম রফতানি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনক শিক্ষা দিতে চীন নতুন করে প্রায় ১,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক চাপাতে পারে। তবে বদলা নিতে শুধু শুল্ক চাপানোই নয়, আশঙ্কা করা হচ্ছে এবার হয়তো মার্কিন লগ্নি ও ব্যবসার রাস্তাও আটকে দিতে পারে বেইজিং। ফলে চীনে থাকা মার্কিন বহুজাতিকগুলির ব্যবসা লাটে উঠতে পারে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এই সব কিছুতে কোনো কান দিচ্ছে না।