আদালতের নির্দেশের পরও ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় গড়িমসি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। পানি পরীক্ষায় সময় চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আবেদন করলে আদালত বলেছেন, হাইকোর্টকে হাইকোর্ট দেখাবেন না। একইসঙ্গে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আগামী বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে, জুরাইন, পল্লবী, শ্যামপুরসহ ব্যবহার অনুপযোগী ঢাকার ১৬ এলাকার তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
ওয়াসার পানি পরীক্ষায় গত বছরের ৬ নভেম্বর আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। এরপর কেটে গেছে ছয় মাস। এর মধ্যে শুধুমাত্র একটি কমিটি গঠন ছাড়া কোনো অগ্রগতি নেই।
আজ সোমবার পানি পরীক্ষা কমিটি আবারো এক সপ্তাহ সময় চান আদালতের কাছে। তাতে চটেছেন উচ্চ আদালত। আদালত বলেছেন, হাইকোর্টকে হাইকোর্ট দেখাবেন না। বুধবারের (১৫ মে) মধ্যে পানি পরীক্ষার রিপোর্ট না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, যে পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে, এতে অত সময় লাগার কথা না, এছাড়া খুব ব্যয়বহুল কোনো ব্যাপারও নেই। তারপরও বার বার সময় চাওয়ায় আদালত চটেছেন।
এদিকে আদালতের নির্দেশে ঢাকার সবচেয়ে দূষিত পানির ১৬ এলাকার তালিকা জমা দেয়া হয়েছে। ১৬ মে এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, মোট ১৬ এলাকার নাম আমি জমা দিয়েছি। আজকে অর্থায়নের কথা বলায় আরও সাতদিন সময় তারা কোর্টের কাছ থেকে চেয়েছেন। বার বার একই ব্যাপার বিভিন্নভাবে আসায় কোর্ট বিরক্ত।
এদিকে পানি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত ওয়াসার এমডিকে গণমাধ্যমের সামনে কোনো ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। ওইদিন এ বিষয়ে আদেশ দিবেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে পানি সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
ওই রিট আবেদনের পর গত বছরের ৬ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া কমিটিকে পানি পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।