রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘন্টায় অজ্ঞান পার্টির ৬৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ১৭ মে শুক্রবার সকাল থেকে ১৮ মে শনিবার সকাল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে ৩৮ জন, গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ ওয়ারীর জয়কালী মন্দির এলাকা থেকে ৪ জন, গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ গুলিস্তান এলাকা থেকে ৭ জন, গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ৮ জন ও গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগ উত্তরা এলাকা থেকে ৫ জন অজ্ঞান পার্টির সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ছালাম মীর, ফালান, মনির হোসেন, সাকিব হোসেন, ইকবাল হোসেন, আফজাল হোসেন আরিফ, মনির হোসেন, সানী, জুয়েল, মিজানুর রহমান, শামিম, বাদল দেওয়ান, সেলিম, আসিফ উল রিন্টু, শাহ আলম, শাহিন, আব্দুর রহমান, রকিব, টিটু, আশ্রাফ, রাশেল, হোসেন, সেন্টু মন্ডল, রিপন সিকদার, হৃদয় মিয়া, মুন্না, সেন্টু মাঝি, আশ্রাফুল, রেজাউল, জাহাঙ্গীর হোসেন, রবিন আহাম্মেদ রাজ, বাবু, মাসুদ আলাম, সাইফুল ইসলাম, সুমন, রাজু, ফজলে রাব্বী, সবুজ, শফিকুল ইসলাম, আলম, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, নূরে আলম, শহিদ আলী, রুবেল হাওলাদার, বাবু আকন্দ, আব্দুল মোতালেব, রুবেল মিয়া, রহমত আলী, জাহেদ, রিয়াজ, জসিম উদ্দিন, রুবেল, কাওসার মাহমুদ কিরন, আজাদ, জলিল ফকির, মাইনুদ্দিন চিসতি,রিপন হোসেন, রতন, অনিক হাসান ওরফে শান্ত, জাকির হোসেন ওরফে ফয়সাল, মাছুদ রানা, মানিক, নুরজাহান ও শ্রাবনী।
ডিবির এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতদের কাছে থেকে জানা যায়,ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তারা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মল, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট রেলস্টেশন এলাকায় আগত ব্যক্তিদের টার্গেট করে সখ্যতা স্থাপন করে। এরপর তাদের ট্যাবলেট মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়। টার্গেটকৃত ব্যক্তি রাজি হলে সেই খাদ্যদ্রব্য তাকে খাওয়ানো হয়। খাদ্য গ্রহণের পর অচেতন হলে তার মূল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে দ্রুত চলে যায়। এক্ষেত্রে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা খাদ্যদ্রব্য হিসেবে, চা, কফি, জুস, ডাবের পানি, পান, ক্রিম জাতীয় বিস্কুট,ব্যবহার করে থাকে। গ্রেফতারের সময় অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কাছ থেকে চেতনা নাশক ট্যাবলেট,ওষুধ মিশ্রিত জুস, খেজুর,৭টি চোরাই মোবাইল সেট, একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষী না থাকায় তারা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করে।