নূর মাজিদ : চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের বাজারে দুটি নতুন শত কোটি ডলারের রপ্তানি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দেশ দুটি ভারত এবং পোল্যান্ড। ফলে শত কোটি ডলার বা তার বেশি পণ্য রপ্তানি করা হয়, এমন বাণিজ্য সহযোগী দেশের সংখ্যা ৯ থেকে ১১তে উন্নীত হলো। সূত্র : দ্য এজ, নিউজ বিডি।
এদিকে দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সহযোগী হলেও এই প্রথম ভারতে ১শ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে দেশটির বাজারে অ্যাপারেলস বা বস্ত্রশিল্পের অসাধারণ রপ্তানি বৃদ্ধি, এই লক্ষ্যপূরণে সহায়ক হয়। জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে ভারতে মোট রপ্তানির পরিমাণ ১শ কোটি ৭০ লাখ ডলারে উন্নীত হয়। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫২ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। ওই মেয়াদে ভারতে ৭০ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়।
এদিকে পোলান্ডেও শতকোটি ডলারের বাজার রপ্তানি প্রবৃদ্ধির কারণেই অর্জিত হয়েছে। দেশটিতে রপ্তানির পরিমান বেড়েছে ২৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। মোট রপ্তানি আয় হয় ১শ কোটি ২ লাখ ডলার। যা আগের বছরে ছিলো ৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর বা ইপিবি সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
ইপিবি আরো জানায়, গত অর্থবছরে ভারতে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ৮৭ কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অন্যদিকে, পোলান্ডের বাজার থেকে রপ্তানি আয় হয় ৯৬ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার ডলার।
এছাড়াও, দেশের প্রচলিত শত কোটি ডলারের বাজারগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ¯েপন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং জাপান। ইতোপূর্বে, ২০১৬ অর্থবছরে বেলজিয়ামের বাজারেও শত কোটি ডলারের রপ্তানি অর্জন করে বাংলাদেশ। তবে পরবর্তীতে এই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায়নি।
এদিকে রপ্তানি বৃদ্ধির এই অবস্থানকে দেশের জন্য একটি সুসংবাদ বলে জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ রপ্তানিকারক এবং বাজার বিশেষজ্ঞগণ। আগামী দিনে আরো একাধিক দেশে শত কোটি ডলারের রপ্তানি বাজার অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।