খাদ্যে বা ওষুধে ভেজালকারীদের সবচেয়ে বড় জঙ্গি-সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এরা একাত্তরের ঘাতকদের চেয়ে কম নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। কেউ ভেজাল দিয়েছে এটা প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ১৯৭৪ সালের স্টেট পাওয়ার অ্যাক্টের আওতায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তাদের ফাঁসি না দিলে খাদ্যে ভেজাল দেয়া বন্ধ হবে না।
তিনি বলেন, খাদ্যের মতো রাজনীতিতেও ভেজাল ঢুকে পড়েছে। এসব ভেজালমুক্ত করতে হবে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় তাই এখানেও কিছু ভেজাল প্রবেশ করেছে। আগামীতে সারাদেশের জেলা উপজেলায় যে সম্মেলন হবে, সেই সম্মেলনে আওয়ামী লীগকে ভেজালমুক্ত করা হবে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসকাব মিলনায়তনে ভেজাল ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের উদ্যোগে ‘নিরাপদ খাদ্য ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলন করে কোন লাভ হবে না। কারণ জনগণ আপনাদের সঙ্গে নেই। তাই জনবিরোধী আন্দোলন না করে ভেজাল, মাদক ও নারী-শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করুন। আমরা ধন্যবাদ জানাবো। আপনাদের সহযোগীতা করবো।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দেশে বড় বড় সংগঠন বা সমিতি রয়েছে। খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে এসব সমিতিরও দায়িত্ব রয়েছে। যারা ভেজাল মেশায় তাদের সমিতি থেকে বের করে দিতে হবে। এতে সমিতির সুনাম বাড়বে। শুধু রাজনীতিবিদ নয়, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে ভেজালের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশে জঙ্গি দমন করতে পারলে খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে পারবো না কেন? তবে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াত-রাজাকারদের বর্জন করে রাজনীতির ভেজাল বন্ধ করারও আহ্বান জানান।
ভেজাল ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের সভাপতি ও গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, গণআজাদী লীগের সভাপতি এসকে শিকদার, কৃষিবিদ ড. মো: আলী আফজাল প্রমুখ।