খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারের ওপর ভরসা না করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকারে এখন ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য বেড়েছে, ফলে তাদের কাছ থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ আশায় বসে থাকা বোকামি হবে। ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়তে হবে। এমন মত দিয়েছেন দেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নিরাপদ খাদ্যের স্বরূপ সন্ধান’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এমন মত দেন। সাওল হার্ট সেন্টার বাংলাদেশ গোলটেবিল আলোচনাটির আয়োজন করে।
গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন লেখক বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ। বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সমাজতাত্ত্বিক ড. সলিমুল্লাহ খান, অ্যাডভোটেক মনজিল মোরসেদ, বিএমএ এর সাবেক মহাসচিব শরফুদ্দিন আহমেদ, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম, বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মতিন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর সাবেক চেয়ারম্যান মুশতাক হাসান মো ইফতেখার, নারী নেত্রী খুশি কবীর, ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন ও সাওল হার্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান কবি মোহন রায়হান।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, একজন মানুষকে হত্যা করলে যদি ফাঁসি হয় তবে ভেজাল খাদ্য দিয়ে যারা কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভেজালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু দরকার একটি বড় সমন্বিত আন্দোলন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, হঠাৎ করে বড়লোক হওয়ার আকাঙ্খার কারণে খাদ্যে ভেজাল মেশানো হচ্ছে। সরকারে ব্যবসায়ীদের প্রবেশ ঘটেছে। তারা সরকারের নীতি নির্ধারণে প্রভাবিত করছে। ফলে এই ভেজালকারীদের এই রাষ্ট্রের মাধ্যমে ঠেকানো যাবে না। মানুষকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সামাজিক শক্তিকে ভেজালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে। ভেজালের উৎস বন্ধ করতে হবে।
খালেকুজ্জামান বলেন, রাজনীতির মধ্যে যে ভেজাল ঢুকে গেছে তা দূর করতে হবে। তা দূর করতে না পারলে খাদ্যে ভেজাল দূর করা যাবে না।