আইন, পলিসি ও বাজেট সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ উল্লেখ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন টাইম, কস্ট ও ভিজিট কমিয়ে সেবাসহ সংসদের সব কার্যক্রম ডিজিটাইজ করা হবে।
যাতে করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বাংলাদেশ পার্লামেন্টকে অনুসরণ করে। সংসদের প্রতিটি জায়গায় হাইস্পিড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী ৩০ মে ২০১৯; জাতীয় সংসদের শপথ কক্ষে সংসদ সচিবালয় ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব” শীর্ষ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ডক্টর জাফর আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব সমন্বয় ও সংস্কার ড. মো. শামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এম জিয়াউল আলম, এটুআই-এর উপদেষ্টা আনির চৌধুরী ও প্রকল্প পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান। ছয় দিনব্যাপী উক্ত কর্মশালায় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ৭টি উইং থেকে ২৩ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প বাস্তবায়নে দেশকে চারটি মৌলিক স্তম্ভের ওপর দাঁড় করানো হচ্ছে।
সেগুলো হচ্ছে- মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টানেটের সংযোগ দেয়া, ই-গভর্নেন্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাত গড়ে তোলা। এই চারটি মূল লক্ষ্য বা পিলারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরে আইসিটি খাতে দশ লাখ জনবলের কর্মসংস্থান হয়েছে যা আগামী পাঁচ বছরে আরও দশ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
তিনি বলেন, গত দশ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ। বর্তমান সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে। জনাব পলক শ্রম, মেধা এবং কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে বিশ্বের কাছে অন্যতম অনুকরণীয় ডিজিটাল পার্লামেন্ট হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।