বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড-ভারত ম্যাচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্ব গণমাধ্যম তো বটেই পিছিয়ে নেই ভারতীয় গণমাধ্যমও।
ম্যাচের শেষ ১০ ওভারে ভারতের ব্যাটিং দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। বিশেষ করে ধোনি ও যাদাবের ব্যাটিং নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছেন, ধোনির ফিনিশিং নিয়েও। প্রশ্ন উঠেছে ম্যাচটা লাইভ নাকি কোনো ম্যাচের শুটিং হচ্ছে?
ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, রবিবার এজবাস্টনে যা দেখা গেল, এই অন্তিম প্রশ্নেরও আগে একটা প্রশ্ন এসে গেছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ধোনি এবং কেদার জেতার চেষ্টা করবেন তো? এক-এক সময় এমনই উদ্ভট দেখাচ্ছিল ধোনি এবং কেদারের ব্যাটিং যে, নিজের গায়েই চিমটি কেটে দেখতে ইচ্ছে করছিল, সত্যিই লাইভ ম্যাচ হচ্ছে তো? নাকি কোনও ম্যাচের শুটিং? প্রত্যেক ওভারে যখন দরকার ১২ বা ১৩ রান করে, তখন তারা খুচরো রান নিয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। বড় হিট হবে কি, চেষ্টাই তো নেই।
শেষের আধ ঘণ্টা রুদ্ধশ্বাস থ্রিলারের মতো হওয়ার কথা ছিল। হয়ে দাঁড়াল ফ্লপ ছবি। হয়তো বলা হবে, নেট রানরেট ঠিক রাখতে সাবধানি ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনিরা। কিন্তু পাঁচ উইকেট হাতে নিয়েও এমন ব্যাটিংয়ের যা ব্যাখ্যাই দেয়া হোক, ক্রিকেট ভক্তদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া কঠিন।
জি নিউজের বাংলা সংস্করণ শিরোনাম করেছে, ‘রান তাড়ার তাগিদ ছিল না ধোনির, পরাজয়ে ধাক্কা খেল পড়শিদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন!’ এমন হারের কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, ‘পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ধোনি অমন ধীর ব্যাটিং করেছেন। রান তাড়া করতে গিয়ে দ্রুত উইকেট হারালে কমে যেত রান রেট। সে কারণেই দলকে তিনশ পার করিয়ে হাতে ৫ উইকেট রেখে দেন সাবেক ভারত অধিনায়ক’।
এনডিটিভি অনলাইন শিরোনাম করেছে, ‘ধোনি-কেদারের উদ্দেশ্যহীন ব্যাটিং ক্রিকেটবিশ্বকে হতবুদ্ধি করে দিয়েছে!’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বাংলা সংস্করণে বেশ কয়েকটি নিউজ করা হয়েছে ভারতের হার নিয়ে। এর মাঝে একটি হলো, ‘ধোনিরা গড়াপেটা করেছেন? বিস্ফোরক অভিযোগ বাংলাদেশের!’ সৌরভ গাঙ্গুলী, ওয়াকার ইউনুস এবং জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সমালোচনামূলক টুইট নিয়ে বেশ কয়েকটি নিউজ করেছে এবিপি আনন্দ। এভাবেই কোহলিদের এই পরাজয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে ভারতীয় মিডিয়া।