নিজেই দিলেন বর্ণনা শিক্ষক আরিফ যেভাবে ধর্ষণের ফাঁদে ফেলতেন ছাত্রীদের

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি; নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ব্ল্যাকমেইল করে ২০ জনের অধিক স্কুলছাত্রী ও ছাত্রীর মাকে ধর্ষণের ঘটনায় অক্সফোর্ড হাইস্কুলের লম্পট শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আরিফ অপরাধ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকার করেন লম্পট শিক্ষক আরিফ। শিক্ষার্থীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে গোপনে অশ্লীল ভিডিওচিত্র ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় এবং শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন তিনি। এমনকি ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে গেলেও তাদের নিস্তার দেননি আরিফ। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসতেন তাদের।

২৭ জুন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি এলাকায় অবস্থিত অক্সফোর্ড হাইস্কুল থেকে শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আরিফ ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। র‌্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, আটক শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম আরিফের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক আরিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে স্কুলের নির্যাতিত সব ছাত্রীর পরিবার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর মামলাটি করে র‌্যাব।

শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ