রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের সঙ্গে একীভূত করার সাম্প্রতিক প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দিয়ে একে একটি ’গর্হিত কাজ’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এসব না করে রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে নিজদেশে ফেরত যেতে পারে সেই প্রচেষ্টাই তার করা উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সীমানা রয়েছে ৫৪ হাজার বর্গমাইল বা ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গ কি.মি. আমরা তাতেই খুশী। অন্যের কোন জমি নেয়া অন্য কোন প্রদেশকে আমাদের সাথে যুক্ত করাকে আমি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করি। এ ধরনের কথা বলা অত্যন্ত গর্হিত ও অন্যায় কাজ বলে আমি মনে করি। এই প্রস্তাব কখনো গ্রহণযোগ্য নয়।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বরাদ্দ সংক্রান্ত কংগ্রেসের শুনানীকালে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ব্রাডলি শেরম্যানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আজ বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণেই আমরা আশ্রয় দিয়েছি। আর আশ্রয় দেওয়ার মানে এটা নয় যে, আমরা তাদের রাষ্ট্রের একটা অংশ একেবারে নিয়ে চলে আসবো। এই মানসিকতা আমাদের নেই। এটা আমরা চাই না।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের এশিয়া প্যাসিফিক সংক্রান্ত উপকমিটির চেয়ারম্যান শেরম্যানকে তার দেশে এক সময়ে চলা দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের অতীত স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন কোন কিছুই করবে না, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে বা অশান্তির সৃষ্টি করে।’
তিনি বলেন, ‘ঐ কংগ্রেসম্যানের কিন্তু অতীত ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, এক সময়ে তাদের গৃহযুদ্ধ লেগে থাকতো। আর সেই দিন যে ভবিষ্যতেও আসবে না সেটা কিভাবে তারা ভাবে।’ ‘রাখাইন স্টেটে প্রতিনিয়ত যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে তাতে আমরা জেনে বুঝে ঐ ধরনের একটা গোলমেলে জিনিসের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করবো কেন, প্রশ্ন উত্থাপন করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কখনই তা করবো না।’
শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বলেন, ‘প্রতিটা দেশ যার যার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে। মিয়ানমারও তাঁর সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে। আর এটাও চাই, মিয়ানমার যেন তার নাগরিকদের ফেরত নিয়ে যায়।’
তাদের রাখাইন স্টেটে মানবাধিকার লঙ্ঘণের বিষয়টি দেখা উচিত তাই বলে কোন দেশের অভ্যন্তরে কৃত্রিম সমস্যার সৃষ্টি করে নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এখানে মানবতা লঙ্ঘনের যা কিছু হচ্ছে তাদের সেটা দেখা উচিত। এভাবে একটা দেশের ভেতর গোলমাল পাকানো কোনভাবেই ঠিক নয় এবং যেখানে তারা হাত দিয়েছে সেখানেই তো আগুন জ্বলছে কোথাওতো শান্তি আসেনি বরং জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের এই অঞ্চলে একটু শান্তিপূর্ণভাবে থাকার চেষ্টা করছি এখানেও তাদের আগুন লাগানোর প্রচেষ্টা। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।’
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে এদিনের সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হলেও রোহিঙ্গা প্রসংগ,সাম্প্রতিক ঘটনাবলী এবং বেশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ঘুরে ফিরে আসে।
১ জুলাই থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খোচাং’র আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা ৫ দিনের সরকারী সফরে চীনে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর এবারের চীন সফরে দ্বিপাক্ষিক বিষয় ছাড়াও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী লি খোচাং, প্রেসিডেন্ট শী জিনপিং এবং চীনা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকে আমি বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরি। এ সব আলোচনার সময় সকল নেতাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং এই সমস্যা সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।’ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে আব্দুল মোমেন এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ,প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রকি মিডিয়া এবং সংবাদ সংস্থার সম্পাদক এবং সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
নারীর প্রতি সহিংসতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার নারী, শিশুসহ সকল নাগরিকের ওপর যে কোন ধরনের সহিংসতা কঠোর হস্তে দমন করছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হলো ধর্ষণটা সবদেশেই আছে। তবে, এখন প্রতিপক্ষের (ভিকটিম) মেয়েরা সাহস করে কথাটি বলে। আর আমাদের দেশে এমন একটা সময় ছিলো যে, সামাজিক লজ্জার ভয়ে কথাটি অনেকে বলতেই পারতো না। আর এর বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেয়ার তা কিন্তু আমরা নিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে এদেরকে (অপরাধী) ধরে এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্তকে পুলিশ খুঁজে বের করে গ্রেফতার করেছে এবং সে (অপরাধী) অপরাধও স্বীকার করেছে।’ তিনি এই ধরনের অপরাধকে ‘জঘণ্য একটি কাজ’ উল্লেখ করে এ ধরনের অমানুষের বিরুদ্ধে যা যা ব্যবস্থা নেয়ার দরকার তার সবই তাঁর সরকার নেবে বলে জানান।
শুধু তাই নয়, পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার প্রতি ইঙ্গিত করে পুরুষদেরকেও এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতা জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন প্রসঙ্গে এ উপলক্ষে গঠিত কমিটি এবং সাব কমিটিই এর আয়োজন করবে এবং বছর জুড়েই এই বর্ণাঢ্য আয়োজন চলবে উল্লেখ করে এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার মুজিব বর্ষ ঘোষনা করেছে। বছর জুড়েই এর অনুষ্ঠানমালা চলবে এবং সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মসূচি গ্রহণ করছে। তাঁর সরকার এটি ব্যাপকভাবে উদযাপনের জন্য ঢেলে সাজাচ্ছে সবকিছু।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ পারফর্মেন্স সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লড়াকু মানসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময়ে চীন সফরে থাকলেও সেখানকার কর্মকর্তাদের ব্যবস্থাপনায় দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলা দেখেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বলবো বাংলাদেশ কিন্তু খেলায় যথেষ্ট উন্নতি করেছে। ওয়ার্ল্ড কাপের মত একটি টুনার্মেন্ট খেলা কোন সাধারণ কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের পারফর্মেন্স সেখানে অত্যন্ত চমৎকার ছিল।’
তিনি এ সময় বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন এবং সেখানে গিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারাকে বড় কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সাকিব বিশ্বে একটা স্থান করে নিয়েছে। মুস্তাফিজ একটা স্থান করে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি দোষ দেব না, আমাদের খেলোয়াড়দের। কারণ খেলা এমন একটা জিনিষ যেখানে অনেক সময়ই ভাগ্যের সহায়তা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সাহসিকতার মনোভাব নিয়ে সকল দলকে মোকাবেলা করতে পারা, আমি এর প্রশংসা করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমাদের ছেলেদের (খেলোয়াড়দের) কখনও নিরুৎসাহিত করি না বরং আমি ফোন করে বলি, ভালো খেলেছো।’
দলের যারা সমালোচনা করছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘এতগুলো দল খেলেছে (বিশ্বকাপ) তারমধ্যে মাত্র ৪টি দল সেমিফাইনালে উঠেছে। তাহলে অন্যেরা সবাই কি খারাপ খেলেছে? তাহলে আমরা আমাদের নিজেদেরকে এত ছোট করি কেন?
দীর্ঘদিন ধরে খেলছে বিশ্বের অনেক জাঁদরেল দলের সঙ্গে বাংলাদেশের মোকাবেলায় দলের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁদের মাঝে একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে এবং যার ধীরে ধীরে উন্নতি হবে।’
খেলাধূলার উন্নয়নে এবং অল্পবয়স থেকেই খেলোয়াড় প্রতিভা অন্বেষণে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরফলেই বাংলাদেশ খেলাধূলার ক্ষেত্রে আজকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের পররাষ্ট্র নীতি- ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এর উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করে থাকবেন আমরা সরকারে আসার পর থেকে সেটা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলছি। আমাদের সবার সাথেই ভাল সম্পর্ক রয়েছে।’
কোন দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বৈরিতা থাকলে বাংলাদেশ সেই হিসেবে চলবে না মর্মে জানিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক কূটনীতির বিষয়ে দেশের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে বলেন, ‘তার সঙ্গে কার কি যুদ্ধ, কি মনমালিন্য, কার সঙ্গে তার কি চলছে সেটাতো আমার দেখার দায়িত্ব নয়। আমার দেখার দায়িত্ব হচ্ছে-আমার দেশের উন্নয়নে কে আমাকে সহযোগিতা করছে, কি অবদান রাখছে এবং তাঁর সঙ্গে আমার কেমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে।
তিনি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় প্রদানের প্রসংগটির পুনরোল্লেখ করে বলেন, মিয়ানমারের এতবড় একটা ঝামেলা আমাদের পোহাতে হলো। তাই বলে আমরা তো তাদের সাথে ঝগড়া করতে যাইনি বরং আমরা আলোচনা চালিয়েছি। এখনও আমরা আলোচনা চালাচ্ছি, কথা বলছি।
তাঁর কাজ করার ধরনটা একটু আলাদা এবং সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেই তিনি চলছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রসঙ্গে বলেন, ‘একসময় চীন আমেরিকার সবথেকে বড়বন্ধু ছিল। এখন আবার বাণিজ্য যুদ্ধ।’
‘কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকবে কে কি করে সেটা দেখা নয় বরং কতটুকু আমরা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারি,দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে পারি। সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করবো যেখান থেকে পারবো’, যোগ করেন তিনি।
কারো ঘর পুড়ছে বলে আলু পোড়া দিয়ে খাওয়ার নীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের বিষয়ে তাঁর সরকার সবসময়ই সতর্ক উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা এই বিষয়টাতে সবসময় সতর্ক এবং সতর্ক অবস্থাতেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বৈদেশিক ঋণের বোঝাটা খুব বেশি নয়। আমাদের জিডিপি’র মাত্র ১৪ ভাগ হচ্ছে ঋণ এবং সেটাও আমরা সময় মতো পরিশোধ করে যাচ্ছি। কাজেই আমরা যেটা নেই (ঋণ) খুব হিসেব করে নেই।’
তাঁর সরকার বাজেটের ৯৯ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে আর বার্ষিক উন্নয়ন বাজেটের ৯০ শতাংশই নিজেদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর প্রসংগ টেনে বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী হচ্ছে। চীনা একটি কোম্পানী আমাদেরকে এটি তৈরী করে দিচ্ছে, সেজন্য তাঁদেরকে আমরা অর্থ দিয়ে যাচ্ছি। এভাবেই বিভিন্ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করছি এবং যেসব দেশ আমাদেরকে সহযোগিতা করছে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
বিগত ১০ বছর যাবত বাজেট ঘাটতি শতকরা ৫ শতাংশ ধরলেও কোনবারই তা অতিক্রম করে না বলেও জানান তিনি।
বিশ্বসভায় স্বীকৃতি পেলেও দেশের একটি স্বার্থান্বেষী মহলের উন্নয়ন চোখে না পড়া সংক্রান্ত মিডিয়ায় সমালোচনার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে তারা ভাল না লাগার ব্যারামে ভুগছেন। কারো ভালই আসলে তারা দেখতে পান না।’
তাঁর সরকারের শতবর্ষ মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা সকল নদীগুলো খনন করে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করছি, জলাধার সৃষ্টি, সংরক্ষণ এবং সংস্কার করে যাচ্ছি, যাতে করে বৃষ্টির পানিটা ধরে রাখা যায়। কাজেই এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আমাদের পানির জন্য আর কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না।
যে জাতি সংগ্রাম করে, যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং সেই দেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি যখন দেশ পরিচালনায় থাকে তখনই দেশটির উন্নতি হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলেছিলেন যে দেশের মাটিতে একটা বীজ ফেললেই গাছ হয়, গাছ হলেই ফল হয়, সেই দেশের মানুষ কেন না খেয়ে থাকবে। তাই আপনারা ভেবে দেখেন আজকে ১০ বছরে বাংলাদেশকে কোথা থেকে আমরা কোথায় নিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, ‘সবসময় আমরা চিন্তা করি যে, আমাদের আত্মমর্যাদাশীল এবং আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। কারো মুখাপেক্ষী থাকলে চলবে না।’বাসস