ব্যক্তিগত তথ্য বেহাতের ঘটনায় ফেসবুককে রেকর্ড পরিমাণ ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন নিয়ন্ত্রকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) যুক্তরাজ্যভিত্তিক রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধে ফেসবুক থেকে ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য অনৈতিকভাবে সংগ্রহের অভিযোগ তদন্ত করছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সাল থেকে এসব তথ্য হাতিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ।
বিবিসি জানায়, প্রায় ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত ও অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে এফটিসি গত বছরের মার্চ থেকে তদন্তে নামে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম জানায়, ৩-২ ভোটে এ জরিমানার বিষয়টি অনুমোদিত হয়। রিপাবলিকান কমিশনাররা এ জরিমানার পক্ষে থাকলেও ডেমোক্রেটরা ছিলেন বিপক্ষে।
এদিকে এসব প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই বলে জানিয়েছে এফটিসি ও ফেসবুক।
জরিমানার বিষয়ে এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে মার্কিন বিচার বিভাগের সিভিল বিভাগ। জরিমানার চূড়ান্ত নিষ্পত্তিতে কত সময় লাগবে, তা জানা যায়নি। তবে শেষ
২০১৬ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজ করেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। একটি অ্যাপের মাধ্যমে কয়েক কোটি ফেসবুক গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে তা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের কাজে লাগানো হয়েছিল বলে ফাঁস হয়। ট্রাম্পের বিজয়ে এর বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনাটি সামনে নিয়ে আসেন কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাবেক কর্মী ক্রিস্টোফার উইলি। তিনি বলেন, ফেসবুকের কোটি কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে বিক্রি করা হয়।
ওই তথ্যগুলো প্রক্রিয়াজাত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরকে সরবরাহ করেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। শুধু তাই নয়, ওই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য রিপাবলিকান ভোটারও চিহ্নিত করা হয়।
এদিকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। আর কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা দাবি করছে, ফেসবুক থেকে সংগৃহীত কোনো তথ্য তারা ট্রাম্পের প্রচারণায় ব্যবহার করেনি।