বৈদেশিক ঋণ ৩৭ হাজার ৯৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার
গত ৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতের আমানত ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ বাড়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়েছে ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। পাশাপাশি গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের জুন মাস পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তা ছাড় হয়েছে ৬ হাজার ২১০.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৫২ হাজার ৭৫৫ লাখ ৪২ কোটি টাকা (৮৫টাকা ডলার হিসেবে)। তবে একই সময়ে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ৯ হাজার ৭৯৫.৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এছাড়া গত জুন মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৯৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী বছরগুলোতে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র, এমআরটি, মাতারবাড়ির মত বড় বড় প্রকল্পের কারণে বৈদেশিক ঋণ বাড়বে বলে জানানো হয়।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থাযী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, মো. আব্দুস শহীদ, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, আহমেদ ফিরোজ কবির, রুমানা আলী এবং রানা মোহাম্মদ সোহেল বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠকে আরো জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাংক ও জাপানসহ উন্নয়ন সহযোগীরা তাদের ঋণের শর্তাবলী আগের চেয়ে কঠিনতর করেছে। বিদ্যুতসহ অবকাঠামো খাতে অনমনীয় ঋণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে অনমনীয় ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বৈঠকে আরো জানানো হয়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে লভ্যাংশ দিয়েছে ৬৮৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। একইসময়ে (২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ) সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ২১ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা।
বৈঠকে কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত বছর একই সময় তা ছিলো ৩৩ হাজার ৫১১ মিলিয়ন ডলার। বৈঠকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণ ৪৪ হাজার ৫৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২১ সালে ৫১ হাজার ৬১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২০২২ সালে ৫৮ হাজার ৯১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উন্নীত করার কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে আরো জানা যায়, ৮টি রাষ্ট্রায়াত্তসহ দেশের ৫৯টি বানিজ্যিক ব্যাংকে ২০১৪ সালে আমনাতের পরিমাণ ছিলো ৭ লাখ ১০ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৩ কোটি। বৃদ্ধির হার ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অপরদিকে ২০১৪ সালের ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিলো ৫ লাখ ২৮ হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। গত এপ্রিল মাসে এসে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা। ঋণ বৃদ্ধির হার ৭৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব, বাংলাদেশে ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।