সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন প্ল্যান শুরু হয়ে গেছে। টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের আর রক্ষা নেই। তারা কে কোন দলের, কে কত বড় নেতা, সেদিকে দেখার সুযোগ নেই। তাদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। তাদের কোনো ছাড় নেই। অবৈধ দখলদার যে-ই হোক, শেখ হাসিনার সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর।’
আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজারে জেলা পর্যায়ে সরকারি অফিসপ্রধান ও স্থানীয় সুধীবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের এ টি এম জাফর আলম সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাঁরা অপকর্ম করছেন, তাঁরা আরেক দল থেকে আসা লোক—এই কথা আমি বলব না। কারণ, তাঁরা দলের (আওয়ামী লীগ) লোক হিসেবে অপকর্ম করেছেন। আর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিরোধী দলটি (বিএনপি) দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তবে তারা কোনো দিন নিজেদের দলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দাগি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। হাওয়া ভবন তার প্রমাণ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, যাদের সময়ে দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, তারাও সরকারের দুর্নীতি বিষয়ে কথা বলে। সরকার দলের নেতা-কর্মীদের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারপ্রধান শূন্যসহনশীলতা নিয়ে সারা দেশে শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কয়েক দিনে অনেক বেড়ে গেছে। জনপ্রিয়তা দেখেই রাজনীতিতে ব্যর্থ দলটির (বিএনপি) গাত্রদাহ হচ্ছে।
বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভালো কথা নয়, ভালো কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, গত ১০ বছরে ১০টি মিনিট যারা রাজপথে থাকতে পারেনি, দলীয় প্রধানকে কারামুক্ত করার জন্য দেড় বছরে দেড় মিনিট যারা রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি, যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, তাদের মুখে দুর্নীতির বক্তব্য ‘ভূতের মুখে রাম নাম’ ছাড়া কিছুই না।
উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সরকারি কর্মকর্তা। আপনাদের আওয়ামী লীগ করার দরকার নেই। প্রশাসনের লোকজন সততার সঙ্গে ইতিবাচক ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করুন, তাতেই আওয়ামী লীগ সরকার খুশি। আপনার শুনবেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার কথা, তিনি কখন কী মেসেজ দিচ্ছেন।’
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বরিশালের সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথ।