যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া ও চালকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কমিশন নেওয়ার প্রতিবাদে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস উবার ২৪ ঘণ্টার জন্য ঢাকায় বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন এর চালকরা। তাঁদের ঘোষণা অনুযায়ী, রবিবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি চলছে। চলবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত। এই সময় উবারের কোনো গাড়ি চলবে না।
গতকাল রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাইড শেয়ারিং প্রাইভেট কার চালকদের সংগঠন ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশন এ কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়।
উবারের অ্যাপ ব্যবহার করে চলাচলকারী মোটরকার ও মোটরসাইকেল এ কর্মসূচির আওতায় থাকবে বলে কর্মসূচি দেওয়া দুটি সংগঠনের নেতারা গণমাধ্যমকে জানান।
ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, পাঁচ মাস ধরে তাঁরা উবার থেকে আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেন না। তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কমিশন নেওয়া হচ্ছে। গাড়ির চাহিদা বেড়ে গেলেও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে যাত্রীদের পকেট কাটছে উবার। তিনি বলেন, উবারের ঢাকা কার্যালয়ে পর পর দুইবার গিয়েছি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধনও করেছি। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
জানা গেছে, কমিশন কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে উবার চালকরা এ কর্মসূচি দিয়েছেন। ছয় মাস ধরে চালকরা ঢাকায় উবারের কার্যালয়ে দাবি জানিয়ে আসছেন। চালকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ট্রিপ শুরুর পর থেকে শেষ করা পর্যন্ত কিলোমিটার ও মিনিট হিসাব করে ভাড়া দিতে হবে, উবারের কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করতে হবে, গ্যাসের দাম বাড়ায় ভাড়ার হার বাড়াতে হবে, ডেস্টিনেশন অপশনে ডেস্টিনেশনের আশপাশে ট্রিপ দিতে হবে, চালকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে, যাত্রীদের মাধ্যমে গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে এর ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ছাড়া যাত্রীদের অভিযোগ যাচাই করে চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাত্রীর অ্যাকাউন্টে যাত্রীর ছবি থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে, চালকের সঙ্গে যাত্রীর সংযোগ দূরত্ব সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার করতে হবে।
জানা গেছে, উবারের ঢাকা কার্যালয়ে গেলে চালকদের বলা হয়েছে, উবারের সব সিদ্ধান্ত ভারত থেকে নেওয়া হয়। ওপরের কর্মকর্তারা এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। ঢাকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশে উবারের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক পিআর পরিচালক এ এস এম আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, উবার কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে। এখনো তাদের কাছে জবাব আসেনি।