এবি ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া ১৬৫ কোটি টাকা উদ্ধারে দুবাইয়ে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা অনুরোধ (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট-এমএলএআর) পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে বলে দুদক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।
এমএলএআর পাঠাতে হয় অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে। কমিশনের অনুরোধে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে দুবাইয়ে অনুরোধ পাঠানো হয়।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান মামলাটির তদন্ত করছেন। তদন্তের সময় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও সাক্ষ্য–প্রমাণে দেখা যায়, এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের ওবিইউ শাখা থেকে থেকে সুইফটের মাধ্যমে দুবাইয়ের এডিসিবি ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে। ব্যাংকের ওই হিসাবটি আবদুস সামাদ খানের নিয়ন্ত্রণে ছিল মর্মে জেনেছে দুদক। পরে ওই টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু ওই টাকা কোথায়, কার নামে বা কার হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, সে বিষয়ে এবি ব্যাংক ও বিএফআইইউ কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তাকে সরবরাহ করতে পারেনি।
এ কারণে দুবাই থেকে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য এমএলএআর পাঠাতে তদন্ত কর্মকর্তা অনুমতি চাইলে কমিশন অনুমতি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুবাইয়ে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, আটলান্টিক এন্টারপ্রাইজ ও স্কাই অ্যাপারেলস নামে দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল হক। প্রতিষ্ঠান দুটির বিপরীতে এবি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সময়ে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। এবি ব্যাংকের মালিকপক্ষ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের জামাতা হওয়ার সুবাদে সাইফুল ইসলাম ব্যাংকটির ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিদের পরিচিত ছিলেন। সাইফুল হক আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য খুররম আবদুল্লাহ ও আবদুস সামাদ খানেরও বন্ধু ছিলেন।
সাইফুল হক ওই চক্রকে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এম ওয়াহিদুল হক ও ব্যাংকটির হেড অব ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল ব্যাংকের যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা বোর্ডের অগোচরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুবাই গিয়ে সাইফুল ও অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। চক্রটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি কোম্পানি পিনাকল গ্লোবাল ফান্ড (পিজিএফ) গঠন করেন এবং দুবাইয়ে আরেকটি কোম্পানি চেং বাও জেনারেল ট্রেডিং এলএলসির নামে দুবাইয়ের এডিসিবি ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন।
পরে এম ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল খুররম আবদুল্লাহর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত যোগাযোগ রক্ষা করে একপর্যায়ে একটি খসড়া চুক্তি অনুমোদনের জন্য এবি ব্যাংকের বোর্ডে উপস্থাপন করেন। এবি ব্যাংকের বোর্ডে অনুমোদিত চুক্তির শর্ত ছিল, পিজিএফের ছয় কোটি ডলার ছাড় করার পর এবি ব্যাংকের দুই কোটি ডলারের ব্যাংক গ্যারান্টি এবি ব্যাংক এবং পিজিএফের প্রতিনিধি যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত একটি ব্যাংক হিসাবে জমা দেবে।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান মামলাটির তদন্ত করছেন। তদন্তের সময় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র ও সাক্ষ্য–প্রমাণে দেখা যায়, এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের ওবিইউ শাখা থেকে থেকে সুইফটের মাধ্যমে দুবাইয়ের এডিসিবি ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরিত হয়েছে। ব্যাংকের ওই হিসাবটি আবদুস সামাদ খানের নিয়ন্ত্রণে ছিল মর্মে জেনেছে দুদক। পরে ওই টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু ওই টাকা কোথায়, কার নামে বা কার হিসাবে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, সে বিষয়ে এবি ব্যাংক ও বিএফআইইউ কোনো তথ্য তদন্ত কর্মকর্তাকে সরবরাহ করতে পারেনি।
তাই দুবাই থেকে তথ্য ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য এমএলএআর পাঠানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তা অনুমতি চাইলে কমিশন অনুমতি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুবাইয়ে এমএলএআর পাঠানো হয়েছে।