দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে নিয়মবহির্ভূত চুক্তি করার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
গত ২২ অক্টোবর টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি অনুযায়ী, একজন জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনো খেলোয়াড় টেলিকম কম্পানির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না।
এ ব্যাপারে আজ শনিবার কালের কন্ঠে প্রকাশিত বিশেষ সাক্ষাৎকালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, হ্যাঁ। এই চুক্তি কোনোভাবেই করতে পারে না। কেন পারে না, চুক্তিতে সব লেখা আছে। লিখিতভাবে ওদের বলে দেওয়া আছে। রবি আমাদের টাইটেল স্পন্সর হলো। গ্রামীণ বিডই করল না। না করে এক-দুই কোটি দিয়ে খেলোয়াড়দের নিয়ে ফেলল। এতে শেষ পর্যন্ত কী হলো? তিন বছরে বোর্ডের ৯০ কোটি টাকা লস হলো। খেলোয়াড় লাভবান হলো। কিন্তু বোর্ডের তো ১২টা বেজে গেল। এটি তো হতে পারে না। তাই লিখিতভাবে ওদের জানিয়ে রাখা আছে।
তিনি আরো বলেন, এমনকি আমার জানা মতে মন্ত্রণালয় থেকেও ওদের বলা আছে যে না জানিয়ে টেলকোর সঙ্গে চুক্তি করা যাবে না। আমাদের সঙ্গে চুক্তি তো আছেই। তারপরও আমাদের না জানিয়ে কী করে চুক্তি করে? টাইমিংটা দেখুন। খেলা বন্ধ করে চুক্তি! এগুলো তো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ।
এটি নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন? এর জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, আমরা লিগ্যাল অ্যাকশনে যাচ্ছি। কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করব এখন। সেটি কম্পানির কাছেও দাবি করব, দাবি করব খেলোয়াড়ের কাছেও। আমরা কি ছেড়ে দেব নাকি? কালকে (গত পরশু) শুনলাম প্রথম। আমি বলে দিয়েছি, গ্রামীণফোনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাও। বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাও। বলেছি, চিঠি পাঠাও সাকিবকেও। আমাদের ব্যাখ্যা চাই। আমাদের কাছে ব্যাপারটিকে মনে হয়েছে, ‘বোর্ডের কোনো নিয়ম-কানুন মানি না।’ এ রকম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবই।
তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু পরে শুনি স্পিন উইকেটে খেলবে। আমি তখন বিদেশে। তাহলে বলুন এই ব্যর্থতার দায় কার? নিজেদের মাঠে আমরা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছি। আর কিনা হারলাম আফগানিস্তানের কাছে? আমি হলে আন্দোলন দূরের কথা, লজ্জায় মুখই দেখাতাম না।
নেওয়া হবে।’