বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি;
ঝাড় ফুকের নামে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কাঞ্চন আলী হাওলাদার (৭০) নামের ওঝার বিরুদ্ধে। এতে কিশোরী (১৮) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। যা বিয়ের রাতেই জানতে পারেন তার স্বামী। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পাঁচপাশা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে। মামলা দায়েরের পর বুধবার সকালে কাঞ্চন আলী হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান বাবুগঞ্জ এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম।
গ্রেফতারকৃত কাঞ্চন হাওলাদার বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের বকশির চর গ্রামের মৃত রেজাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। বুধবার সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আরো পড়ুন: ছোটো ভাই প্রেসিডেন্ট বড়ো ভাই প্রধানমন্ত্রী
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা জানান, তার মেয়ের ওপর জিনের আছর পড়ে। এজন্য তাকে পার্শ্ববর্তী বকশিরচর গ্রামের ওঝা কাঞ্চন হাওলাদারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম পর্যায় ঝাড়-ফুক দিয়ে জিন ছাড়িয়ে কয়েকদিন পর চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলে। তার কথামতো কদিন পরে নিয়ে গেলে চিকিৎসা দেওয়ার নামে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওঝা কাঞ্চন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ফকির কাঞ্চন নিজেই ঘটক হয়ে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পাঁচপাশা ইউনিয়নের বেপারীবাড়ির ছেলের সঙ্গে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বিয়ে দেয়। বাসর ঘরে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে তার স্বামী।
আরো পড়ুন: চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ২ শতাধিক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
বিষয়টি নিয়ে বর-কনের পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ছেলের পরিবার বিয়েতে খরচ করা দেড় লাখ টাকা ফেরত দিতে বলে মেয়ের পরিবারকে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সকালে মেয়ের বাবা বিষয়টি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ওঝা কাঞ্চন হাওলাদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পাশাপাশি কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুপুরে কিশোরী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।’