জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণসহ ৬ উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৭ হাজার ৩১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৭৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ২১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে ৩২১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সরকারের এখন দু’টি প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে-সারাদেশে সড়কের উন্নয়ন এবং বিদুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো। এ লক্ষে আজ একনেকে অনুমোদিত ৬ প্রকল্পের মধ্যে ৫টি রাখা হয়েছে সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প । সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে সড়ক সংস্কার, বাঁক সোজা করা এবং পুরনো বেইলি সেতু বাতিল করে সেখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা। পাশাপাশি আন্তঃজেলা সড়ক চার লেনে উন্নীত করা।
তিনি জানান, পরিবেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সড়কে বেশি করে গাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পল্লী এলাকায় যত ছোট রাস্তা হোক না কেন সেখােেনা যেন রাস্তার দু’পাশে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি, ২০০৯ থেকে জুন, ২০১৯ পর্যন্ত একনেকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুশাসন নিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে। আজ একনেক সভায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো-পলবাড়ি-দড়াটানা-মনিহার-মুড়ালী জাতীয় মহাসড়ক এর মনিহার হতে মুড়ালী পর্যন্ত ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প, এর খরচ ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। বগুড়া-সারিয়াকান্দি জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন এবং বাঙালী নদীর উপর আড়িয়ারঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় হবে ২৪০ কোটি টাকা। মাগুরা-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের বাঁক সরলীকরণসহ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭২৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ফেনী-আলোকদিয়া-ভালুকিয়া-লস্করহাট-ছাগলনাইয়া জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নতীকরণ প্রকল্পের খরচ হবে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
এছাড়া নাটোর রোড হতে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রীড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৪৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।