ইরাকে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে অন্তত ১৩ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন। আজ বৃহস্পতিবার ইরাকের দক্ষিণ অংশের শহর নাসিরিয়াতে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা যে দুটি সেতু দখল করে রেখেছিলেন, সেগুলোর দখল ফিরে পেতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছোড়ে। পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়।
ইরাকের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, নিরাপত্তা রক্ষায় ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটি জরুরি ইউনিট গঠন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি ও সশস্ত্র বাহিনী প্রধানের নির্দেশে জরুরি এ ইউনিটে বেশ কয়েকজন সেনা কমান্ডারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বজায় রাখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
বেকারত্বের উচ্চ হার হ্রাস, উন্নত সরকারি সেবার দাবি ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক নেতাদের পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন ইরাকিরা। ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের কারণেও ক্ষুব্ধ তাঁরা। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার নাজাফ শহরে ইরানি কনস্যুলেটে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ সেখানে কারফিউ জারি করে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুছাভি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।