দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, গত সাড়ে তিন বছরে ঘুষের টাকাসহ একশ’ সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দুদক। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে নেহায়তে এই সংখ্যা কম নয়। ওই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে ৮০টি ফাঁদ মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুদকের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরদের (২য় ব্যাচ) বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি সর্বগ্রাসী, এর ধ্বংসাত্মক প্রভাব চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে অন্য প্রতিষ্ঠানেও এর প্রভাব দেখা যায়।
তিনি বলেন, কমিশন মামলা করছে, গ্রেফতার করছে, কোনো কোনো মামলায় সাজাও হচ্ছে। এখান থেকে অন্যরাও শিক্ষা নিতে পারে। আর যারা শিক্ষা নেবে না। তাদের জন্য নির্মম পরিণতি অপেক্ষা করবে।
মামলা ও চার্জশিটের বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের শতভাগ মামলায় সাজা হওয়া উচিত। প্রতিটি মামলা দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়। তারপরও কেন শতভাগ মামলায় সাজা হচ্ছে না। আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মামলায় হেরে যাওয়ার পেছনে অভিযোগপত্রের ত্রুটি, নাকি প্রসিকিউশনের ত্রুটি, না অন্য কিছু। এগুলো আপনারা চিহ্নিত করবেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা নামি-দামি আইনজীবী-সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, আপনাদের যোগ্যতা ও কাজের অনুপাতে কমিশন থেকে অর্থ দেওয়া হয় না। একথা ঠিক। তবে সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনারা দুর্নীতির মতো সর্বগ্রাসী অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এটা আপনাদের মিশন বলে আমার মনে হয়।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মফিজুর রহমান ভূয়া, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি বিভাগের অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।