রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক মজনুকে (৩০) আটকের কথা জানিয়েছেন র্যাব। বুধবার ভোরে তাকে বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর দুপুরে মজনুকে নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আসে র্যাব। এ সময় র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম কিভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয় তা তুলে ধরেন।
এক্ষেত্রে ঢাবি ছাত্রীটির খোয়া যাওয়া ফোন ধর্ষককে গ্রেফতারে সহায়তা করে। এ বিষয়ে সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, প্রথমে আমরা মেয়েটির খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের চেষ্টা করি। তদন্তে আমরা দেখতে পাই মোবাইলটি খায়রুল ইসলামের নামে ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয় র্যাবে। পাশাপাশি মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
খায়রুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একজন রিকশাচালক। অরুণা বিশ্বাস নামে তার একজন পরিচিত নারী তাকে ডিসপ্লে ঠিক করার জন্য মোবাইলটি দেন। এরপর অরুণাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে অরুণা জানান, মজনু তার কাছে ডিসপ্লে ভাঙা একটি মোবাইল বিক্রি করে। সেটি খায়রুলকে মেরামত করার জন্য দেন তিনি।
সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, নির্যাতিতা ছাত্রী ও অরুণার কাছ থেকে মজনুর চেহারার বর্ণনা নেয়া হয়। দুইজনের বর্ণনা মিলে গেলে আমরা নিশ্চিত হই সে-ই ধর্ষক। এরপর তদন্ত করে দেখি মঙ্গলবার সারাদিন মজনু বনানী রেলওয়ে স্টেশনে ছিল। কড়া নজরদারিতে রেখে বুধবার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে তাকে শেওড়া রেলক্রসিং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটানোর পর মজনু এয়ারপোর্ট স্টেশন দিয়ে নরসিংদী চলে যায়। এরপর সেখান থেকে মঙ্গলবার বনানীতে আসে সে।
এর আগে, গত রবিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলা বাসস্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আন্দোলনের ঝড় উঠে।