সরস্বতী পূজার জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এখন ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ রাতে কমিশন বৈঠক শেষে একথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
গত ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের তারিখ রেখে গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীরা বর্তমানে প্রচারণায় আছেন।
দুই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ১৩ প্রার্থীসহ প্রয় সাড়ে ৭শ’ প্রার্থী ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ওইদিন সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সরস্বতি পূজা থাকায় নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদসহ বেশ কিছু সংগঠন। গত কয়েকদিন ধরে একই দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
১ ফেব্রæয়ারি ভোটের বাধা ছিল এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এরইমধ্যে ইসির নির্দেশনায় পরীক্ষা পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে ঘোষিত সময়ানুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৫ জানুয়ারি রোববার। প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে ১০ জানুয়ারি শুক্রবার। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়া কথা ছিল ৩০ জানুয়ারি।
ডিএনসিসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ইসির যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম ও ডিএসসিসি’র রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেনকে নিয়োগ করা হয়েছে।
৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।