একসঙ্গে চুয়াল্লিশটি বিয়ে! শুনতে কিছুটা অবিশ্বাস লাগতে পারে। কিন্তু এটাই সত্য। পল্লী উৎসবে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় এই গণবিবাহের। মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই এই অনুষ্ঠানের একমাত্র লক্ষ।
ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে পাত্র-পাত্রীর চার হাত এক করা হয়। ভারতের নন্দীগ্রামে সোমবারের অনুষ্ঠানে মোট ৮৮ পাত্র-পাত্রী পা রাখলেন নতুন জীবনে। বিয়ের আসরে ২৯ জোড়া হিন্দু পাত্র-পাত্রী এবং ১৫ জোড়া মুসলিম পাত্র পাত্রীর বিয়ে হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ-১৮ এ বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়াসহ রাজ্যের অন্য কয়েকটি জেলা থেকেও দরিদ্র পরিবারের পাত্র পাত্রীদের এদিনের অনুষ্ঠানে বিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিন্ন রাজ্য ওড়িশার ছেলে-মেয়েদেরও গণবিবাহের আসরে বিয়ে দেওয়া হয়।মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই বিয়ে দেন।
মেলার উদ্যোক্তা জেলাপরিষদের সহ-সভাপতি সেক সুফিয়ান বলেন, ‘বর্তমানে নন্দীগ্রামের বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগেই এই গণবিবাহের অনুষ্ঠান হয়ে আসছে বছরের পর বছর। এবারও তাই হয়েছে’।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে পাত্র পাত্রীকে দান-সামগ্রীও দেওয়া হয়। সোনার গয়নার সঙ্গে খাট, বিছানা, ট্রাঙ্ক, বাইসাইকেলও ছিল উপহাররে তালিকায়। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নবদম্পতিদের, বিয়ের ঘড়ি ও বেনারসি শাড়ি উপহার দেন৷ ফুলের তোড়া দিয়ে পাত্র-পাত্রীদের তিনি শুভেচ্ছাও জানান। দেওয়া হয় আর্থিক সাহায্যও।
বিবাহ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া নবদম্পতিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘হিন্দু, মুসলিম জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যে সকল দম্পতি শুভবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তাদের আগামী চলার পথ পরম করুণাময় ঈশ্বর ও দয়াময় আল্লাহর কৃপায় সুখ সম্বৃদ্ধিময় হয়ে উঠুক