জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ইতিমধ্যে ক্ষনগণনা উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন মুজিববর্ষ পালন করার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত।

তিনি বলেন, ৭৪ সালে জাতির পিতা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে আইন করে দিয়েছে অর্থাৎ একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সমস্ত কাঠামো নীতিমালা, বিধিমালা যা যা দরকার হতে পারে সবই করে দিয়ে গেছেন তিনি।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রোমের পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে এতো কাজ জাতির পিতা কিভাবে করে গেলেন তা আমার বুঝে আসে না। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে সুন্দর ভাবে সাজানো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না, মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না। প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন পাবে, লেখাপড়া শিখবে। চিকিৎসা পাবে।

কিন্তু বঙ্গবন্ধু সে কাজ সম্পন্ন করে যেতে পারেননি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একদিকে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথে যখন যাত্রা শুরু করলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হল।

গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রোমা ঢাকা রোম রুটে বিমান বাংলাদেশ পূনরায় চালুর দাবীর প্রশ্নের জাবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ১২টা বিমান রয়েছে আরও তিনটি খুব শীঘ্রই যোগ হবে। অনেক দেশের বিমান সমস্যা সমাধান হয়েছে। ইতালিতে বিমান চালুর ব্যাপারে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অবৈধ ভাবে যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের ভাগ্য আজ কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,ঘুষ নেয়া ও দেওয়া দুইটাই অপরাধ । এই কালচার বিএনপি শুরু করে।

ইতালি আওয়ামী লীগ সভাপতি ইদ্রিস ফরাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা শরীফ প্রমুখ।

এছাড়াও জার্মান, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড,বেলজিয়াম,স্পেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, এ সফরে ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুইজেপ্পে কোন্তের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রস্তাবিত এই চুক্তি গুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিয়োগ, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে আলোচনা। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর একটি যৌথ ইশতেহার জারি করা হবে উল্লেখ করার কথা রয়েছে।

শেখ হাসিনা বুধবার বিকেলে ইতালি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পূর্বে সকালে ভিয়া ডেল আন্তারতিদ এলাকায় রোমে বাংলাদেশ সরকারের ক্রয়কৃত নিজস্ব দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন করবেন।

পরে শেখ হাসিনা ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। তারপর প্রধানমন্ত্রী দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ট্রেনে করে মিলান শহরের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় মিলান সেন্ট্রাল ষ্টেশনে পৌঁছাবেন।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ সংবাদ