করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ছুটি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত সাপ্তাহিক ছুটি ও সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ২৬ থেকে ৩০ এপ্রিল ও ৩ থেকে ৫ মে ২০২০ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই সাধারণ ছুটির সঙ্গে ১ ও ২ মে সাপ্তাহিক ছুটিও যোগ হবে।
ছুটির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জরুরি সেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, অন্যান্য জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, ও বন্দও সমূহ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পন্য পরিবহনের কাছে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল অব্যহত থাকবে।
এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, গণমাধ্যম ( ইলেক্ট্রট্রনিক ও প্রিন্ট), খাদ্য, শিল্পপণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরী সেবা এই ছুটির মধ্যে পড়বে না। জরুরি প্রয়োজনে অফিসগুলো খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সকল কারখানা কর্তিপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখা যাবে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তিতে শিল্পকারখানা কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিস্ট ক্ষেত্রে গুলো গণ পরিবহন পর্যায়ে ক্রমে খুলে দেয়া হবে।
এ ছাড়া ছুটিকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো খোলা থাকবে। মানুষের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে নির্দেশনা দেবে।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। আর চতুর্থ দফায় ছুটি বাড়ানো হয় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।