করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মোকাবেলায় বাংলাদেশকে চিকিৎসা সহায়তা দিতে চীনের ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সোমবার ঢাকায় এসেছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চিকিৎসক দলকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দীন। চীনের চিকিৎসক দল আগামী ২২ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, চীনা চিকিৎসক দলকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এ চিকিৎসক দলের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা উৎসাহ পাবেন। একই সঙ্গে দেশে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীরাও সাহস পাবেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল দেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন, বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করবেন। প্রয়োজনে তারা এ দেশের করোনা চিকিৎসার বিষয়ে সুপারিশ করবেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘চীন করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। করোনা রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশও চীনকে অনুসরণ করছে। এমনকি নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও চীন প্রথম উদ্ভাবন করে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশকে সম্মিলিতভাবে কভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতি এখন বৈশ্বিক ইস্যু। এ কারণে এ সংকট থেকে উত্তরণ এবং মহামারি পরবর্তী অথনৈতিক সমস্যা মোকবিলায়ও বিভিন্ন দেশের পারস্পারিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এককভাবে কোনো দেশের পক্ষে এ সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’
রোহিঙ্গা সংকটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আশা করি, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও চীনের সহায়তা আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরও গভীর হবে।’
এর আগে বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। কভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর চীন সরকার এবং চীনের বেসরকারি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলীবাবা বাংলাদেশে টেস্টিং কিট, পিপিই, মাস্কসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশও করোনা মোকাবিলায় চীনের উহানে চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছিল।