লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য(এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনকে তলব করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে রবিবার পাঠানো নোটিশে সেলিনা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনকে আগামী ২২ জুলাই দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে পাপুলের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা।
অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে গ্রাহককে ঋণ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ অর্জন করে বিদেশে পাচারসহ শত শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে এমপি পাপুলের স্ত্রী ও তার শ্যালিকার বক্তব্য শোনা প্রয়োজন। নির্ধারিত সময়ে হাজির না হলে অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলেও ধরে নেয়া হবে।
এর আগে গত ২৯ জুন পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও সেলিনার বোন জেসমিনের তথ্য চেয়ে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে চিঠি দেয় দুদক। আয়কর নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেয়া হয় এনবিআরেও।
তার আগে গত ২১ জুন পাপুল পরিবারের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব স্থগিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নথি তলব করে চিঠি দেয় দুদক। ইতোমধ্যে কিছু নথি দুদকে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এদিকে পাপলু পরিবারের কোনো সদস্যই যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ থেকে।
অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে চলতি বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে পাপুলকে গ্রেফতার করে দেশটির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ সময় পাপুল ও তার কুয়েতি প্রতিষ্ঠান ‘মারাফি কুয়েতিয়া’র অ্যাকাউন্টে ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ টাকা) জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের পর পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন কুয়েতের এক আদালত।