সূর্যের আলো থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে যাদের চামড়ার রঙ বাদামি কিংবা কালো, তাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
চলতি সপ্তাহে ব্রিটেনের সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি কমিশন অন নিউট্রেশন-এর নেতৃত্বে তিনটি প্রভাবশালী সংস্থার বিজ্ঞানীরা এই পরামর্শ দিয়েছেন। সূর্যের আলো ছাড়াও অন্যান্য উপাদান থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি-ও করোনা সংক্রমণকে বাধাগ্রস্ত করে। গবেষণাটা অবশ্য এখনো পরিপূর্ণতা পায়নি বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে তারা এই ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। খবর ফিনান্সিয়াল টাইমসের।
প্রতিষ্ঠান তিনটির একাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়ছে এই বিষয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস ও ভিটামিন ডি–এর মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক আছে কি না, সেটা এখনও যথেষ্ট গবেষণার বিষয়। কিন্তু শরীরে করোনাভাইরাস রুখে দিতে ভিটামিন ডি কাজ করতে পারে বলে তারা মনে করছেন। সে কারণে ভিটামিন গ্রহণ করার কথা বলছেন তারা।
শরীর গঠনে ভিটামিন ডি–এর এমনিতেই যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা রয়েছে। সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এটি সাহায্য করে। ডিম, তৈলাক্ত মাছ, ইত্যাদি শরীরে ভিটামিন ডি বাড়াতে সাহায্য করে। সরাসরি সূর্যের আলোয় থাকলেও শরীরে ভিটামিন ডি প্রবেশ করে। তাই বেশির ভাগ সময় ঘরের মধ্যে থাকলে শরীরে ভিটামিন ডি–এর অভাব দেখা দেয়।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ইমিউনোলজির অধ্যাপক এবং রয়েল সোসাইটির গবেষণাপত্রের সহলেখক চার্লস ব্যাংহাম বলেছেন, ‘আমি করোনায় ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে কিনা তা নিয়ে কৌতূহলী হয়ে গবেষণা শুরু করেছিলাম। প্রথমে বেশ সন্দেহ ছিল, গবেষণাটা ঠিক হচ্ছে কিনা। তবে এখন আমি নিশ্চিত যে, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি আছে, এমন লোকদেরই তীব্র শ্বাসনালীর সংক্রমণে বেশি আক্রান্ত হওয়ার দৃঢ় প্রমাণ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মনে হয় ভিটামিন ডি-এর অভাব রয়েছে যাদের শরীরে তারাই এই রোগে গুরুতরভাবে আক্রান্ত হতে পারে। আরো হয়তো অনেক কারণ থাকতে পারে। তাই আমাদের এই তথ্য সংগ্রহ করা দরকার।’