জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৬ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমেদন দিয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের ১ হাজার ২৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ১০৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন।
সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে। এর কারণ হলো-সমন্বয়ের অভাব এবং মূল কাজের বাইরে বিভিন্ন অঙ্গ যোগ করায় গতি ধীর হয়েছে। তবে, পরবর্তীতে আমরা এই বিষয়গুলো কঠোরভাবে দেখবো।’
তিনি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীর গতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সভায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
মান্নান জানান, খুলনা শিপইয়ার্ডের সড়ক প্রশস্ত ও উন্নয়ন করার প্রকল্পটি প্রথম হাতে নেওয়া হয় ২০১৩ সালে, ২ বছর মেয়াদে। সাত বছর পর এসে প্রকল্পটির অগ্রগতি ৩০ শতাংশ। প্রকল্পটি শেষ করতে আরও দুই বছর সময় চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে ১০৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। অন্যদিকে মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তিনি জানান, দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারায় প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ অঞ্চলের জন্য ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের প্রশংসা করেন।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হলো-খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। কুমিল্লা জেলার তিতাস ও হোমনা উপজেলায় তিতাস নদীর (লোয়ার ইতিহাস) পুনঃখনন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭৬ কোটি ২৫ লাখ। গাইবান্ধা জেলার সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গোঘাট ও খানাবাড়ীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা যমুনা নদীর ডান তীরের ভাঙন থেকে রক্ষা প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০১ কোটি ৭৯ লাখ।
এছাড়া ‘লাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ হতে মিনারবাড়ী পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৮ কোটি ৮৪ লাখ। চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রোজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন) (বাপাউবো অংশ) প্রকল্প, যার ব্যয় ২৬৩ কোটি ৬৭ লাখ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৬৬ লাখ।