আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চের আগাম টিকিট আগামী শুক্রবার থেকে বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন অধিদফতর (বিআইডব্লিউটিএ)।
এক ভার্চুয়াল সভায় বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে ৮টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিআইডব্লিউটিএ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সভায় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ঈদযাত্রা মনিটরিংয়ে বিআইডব্লিউটিএর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। আগামী শুক্রবার থেকে লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
রোজার ঈদে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গত ঈদে আমরা করোনা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে বাধ্য করেছি। নির্দিষ্ট দূরত্বে বসার জন্য লঞ্চে স্থান চিহ্নিত করে দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও লঞ্চের ভেতর গিয়ে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। যাত্রীরা মাস্ক খুলে গাদাগাদি করে বসে অছেন। কথা বলেছে, গল্প করছে, খাচ্ছে, ঘুরছে ফিরছে।
এবারের ঈদে যাত্রীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস যেহেতু একজন থেকে আরেকজনে দ্রুত ছড়ায়, তাই আসুন সবাই সচেতন হই, সতর্ক হই।
সভায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- নদী বন্দরে যাত্রী পরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন তদারকি করা, যাত্রী চাহিদা বিবেচনা করে লঞ্চ সংখ্যা বাড়ানো, বিভিন্ন নদী বন্দরে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, বন্দর এলাকায় ছোট নৌকায় যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ করা ও যে কোনো অবস্থায় ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা। সভায় সব যাত্রীর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।