কুমিল্লার হোমনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের টেটাযুদ্ধে একজন নিহত এবং তিন জন আহত হয়েছে।
বুধবার ভোরে উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর মিঠাইভাঙা গ্রামে ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ছামাদ মেম্বার এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য জুনা আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি জুনা আলী গ্রুপের মিঠাইভাঙ্গা আড়ালিয়াকান্দি গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে নুরন্নবী (২৮)। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। আহতরা হলেন, ছামাদ মেম্বার গ্রুপের ছামাদ মেম্বার (৬৯) ও তার ভাই আ. করিম (৬৫) এবং একই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২২)। তাদের তিন জনকে টেটাবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জুনা আলী এবং ছামাদ মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। কিছুদিন পূর্বে জুনা আলীর একটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। এতে প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করা হয়। বিরোধের জেরে বেশ কিছুদিন ধরেই জুনা আলী গ্রামে ঢুকতে না পেরে বাড়ির বাইরে ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে চারটার দিকে জুনা আলী তার দলবল নিয়ে গ্রামে ঢোকে। এরই জের ধরে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী টেটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হোমনা- মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, তাদের দীর্ঘদিনের বিবাদ এবং আধিপত্য বিস্তারই এই হত্যাকাণ্ড।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র ছামাদ মেম্বার এবং জুনা আলী গ্রুপের মধ্যে টেটাযুদ্ধে জুনা আলী গ্রুপের নুরুন্নবী মারা যান। অপরদিকে ছামাদ মেম্বার ও তার ভাইসহ তিন জন আহত হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।