স্বাস্থ্যের সেই আবজাল ১৪ দিনের রিমান্ডে

৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুই মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী আবজাল হোসেনের সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২৬ আগস্ট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আবজাল হোসেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য দুই মামলায় তাকে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে দুদক। আদালত ২ সেপ্টেম্বর তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে। ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করেন। মামলায় আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকা পাচারের অভিযোগও করা হয়। আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় চার কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। তিনি দুদকে পেশ করা সম্পদ বিবরণীতে দুই কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন বলে মামলায় উলেস্নখ করা হয়। আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনাকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়। তারা দুদকের কাছে পাঁচ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে উলেস্নখ করা হয় মামলায়। মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকা পাচারের প্রমাণ মিলেছে। রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে ২৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকা পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

শীর্ষ সংবাদ সারাদেশ