॥ আমিনুল ইসলাম মির্জা ॥
নয়াদিল্লি, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ : বহুল প্রত্যাশিত ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি)’র বৈঠক এ মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে একটি ঊর্ধ্বতন কূটনৈতিক সূত্র বাসসকে জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর টুইট করেছেন যে দু’দেশই বাংলাদেশ-ভারত জেসিসির বৈঠক ‘খুব শিগগিরই’ করতে সম্মত হয়েছে। আজ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সাথে এক টেলিফোন আলাপের পর জয়শঙ্কর এই টুইটটি করেন।
তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সাথে উষ্ণ আলাপ হয়েছে। তিনি খুব শিগগিরই আমাদের যৌথ পরামর্শ কমিশনের বৈঠক করতে সম্মত হয়েছেন। আমরা আমাদের নেতৃবৃন্দের নির্ধারিত উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবো।’
বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, উভয় নেতা আসন্ন জেসিসি বৈঠকের বিভিন্ন দিক এবং কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে বৈঠকটি ভার্চুয়াল ফর্মে অনুষ্ঠিত হবে কিনা এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে কমিশনের পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশ জেসিসির ৬ষ্ঠ বৈঠক আয়োজন করবে। পঞ্চম বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং তার তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
সূত্রগুলো অবশ্য জানিয়েছে, শনিবার অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ নৌপথের ট্র্রায়াল রান নিয়েও দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের কথোপকথনের সময় আলোচনা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ঢাকায় বাসসকে জানান, আজ বিকেলে ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সাথে তার আলাপ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘টেলিফোন আলাপের সময় আমরা ভার্চুয়াল ফর্মে যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি)’র ষষ্ঠ বৈঠক করার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হই। এটি চলতি মাসের মধ্যে খুব শিগগির অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
জেসিসির বৈঠকের আগে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র্রচিব মাসুদ বিন মোমেনের বহুল আলোচিত (সম্ভাব্য) সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে সূত্র নেতিবাচক জবাব দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এ সময়ের মধ্যে ভারত সফর করতে সক্ষম হবেন। কেননা এ মাসের মধ্যে জেসিসি’র ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ জেসিসি’র বৈঠকে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সহযোগিতা অরো জোরদারে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকগুলোতে ১৮০০ বাংলাদেশী সরকারি কর্মচারীর প্রশিক্ষণ, আয়ুষ ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ঔষধি গাছপালা বিষয়ে সহযোগিতা, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই)’র মধ্যে সহযোগিতা এবং মংলায় ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে হীরানন্দিনী গ্রুপ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা।