বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনসের টিকিটের জন্য সৌদি প্রবাসীরা বুধবারও রাজপথে বিক্ষোভ করছেন। তার দুই এয়ারলাইনসের অফিসের সামনে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন, তার পরও টিকিট মিলছে না।
সৌদি আরবে ফিরে যাওয়ার টিকিট না পেয়ে আজ সকালেও রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সৌদি এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে কয়েক হাজার প্রবাসী জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় টিকিটের দাবিতে তারা নানা স্লোগান দেন।
তারা বলছেন, ১ অক্টোবরের মধ্যে আমরা যদি সৌদিতে ফিরতে না পারি; তবে আমাদের আকামা বাতিল হয়ে যাবে।
বিক্ষোভে অংশ নিতে কুমিল্লা থেকে আগত আলমাস হোসেন বলেন, সরকারের জরুরি পদক্ষেপ না নিলে আমরা সৌদিতে ঢুকতে পারব না। আমাদের পরিবার বিপদে পড়ে যাবে। আমরা বেকার হয়ে পড়ব।
এভাবে ৬৪ জেলা থেকে কয়েক হাজার লোক এসে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। কুষ্টিয়ার কবির হোসেন বলেন, আমাদের আকামা ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে সৌদি সরকার ঢুকতে দেবে না। আমরা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের বলা হয়েছে, তোমরা যথাসময়ে সৌদিতে না এলে আমাদের করার কিছু নেই।
সরকার যেন জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়ে যাদের আকামা নেই, তাদের টিকিটের ব্যবস্থা করেন, প্রবাসীরা বিক্ষোভে সেই দাবিই জানিয়ে আসছেন।
প্রবাসীরা বলেন, বিভিন্ন মেয়াদে তাদের সবার রিটার্ন টিকিট কেনা আছে। এ সময়ের মধ্যে তারা যদি সৌদিতে ফিরতে না যেতে পারেন, তা হলে যেন তিন মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সৌদি সরকারের কাছে সেই আবেদন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
টিকিট নিয়ে রাজধানীজুড়ে চলছে হাহাকার। সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস কিছু যাত্রীকে টোকেন দিলেও এখনও টিকিট ইস্যু করেনি। যাদের রিটার্ন টিকিট আছে তাদের টিকিটও রি-ইস্যু করছে না।
হাজার হাজার যাত্রীর মধ্যে প্রতিদিন ৩০০ জনকে টোকেন দিচ্ছে এয়ারলাইনসটি। এ কারণে সংস্থার একমাত্র কার্যালয় সোনারগাঁও হোটেল মোড়ে দাঁড়ানোর জায়গা নেই।
ফ্লাইট সিডিউল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার সৌদি প্রবাসী টিকিট কাটতে ছুটে আসছেন ঢাকায়। প্রতিদিনই এদের সংখ্যা বাড়ছে।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার কোনো ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য অফিস বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে দেশে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের সৌদি আরবে যাওয়া নিশ্চিত করতে সে দেশের সরকারকে তিন মাসের জন্য আকামার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশের দূতাবাস এ অনুরোধ জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে নামেন প্রবাসীরা। কারওয়ানবাজার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সৌদি আরব থেকে ছুটিতে এসে আটকেপড়া প্রবাসীরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মতিঝিল কার্যালয় অবরুদ্ধ করেন তারা। কয়েকশ প্রবাসী এই বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রথমে তারা কারওয়ানবাজারে সৌদি এয়ারলাইনস এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।
পরে মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কার্যালয় অবরুদ্ধ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করেন। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পর তারা অবরোধ তুলে নেন।
এ বিষয়ে তেজগাঁও থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, টিকিট জটিলতা নিরসনের দাবিতে প্রবাসীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে আমরা সেখানে ছুটে যাই এবং তাদের বোঝাতে সক্ষম হই যে, রাস্তা অবরোধ করে এর সমাধান হবে না। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে সমাধান করার পরামর্শ দিলে তারা অবরোধ তুলে নিয়ে চলে যান।
তবে জানতে পেরেছি তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে গেছেন। এর আগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারওয়ানবাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন সৌদি প্রবাসীরা।
এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে জনদুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে অবরোধ থেকে সরে যান বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে সৌদি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি তাদের সপ্তাহে দুটি সিডিউল ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। কাজেই তারা বেশি টিকিট বিক্রি করতে পারছে না।
এ কারণে রাস্তায় ভিড় জমে গেছে প্রবাসী যাত্রীদের। অপরদিকে রাষ্ট্রীয় ক্যারিয়ার বাংলাদেশ বিমানও সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়ে পরে অনুমতি না পাওয়ায় সরে এসেছে।
ফলে বিমানের টিকিট নিয়েও লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। টিকিট পেতে তাই বিমানের মতিঝিলসহ সব কটি সেলস কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।
সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সোমবার জানিয়েছেন, টিকিটের এই ক্রাইসিস দু-এক দিনের মধ্যে কেটে যাবে।
তিনি বলেছেন, সৌদি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে যত ফ্লাইটের অনুমতি চাইবে তাদের তত ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে। অপরদিকে বাংলাদেশ বিমানকেও ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে বিমানও সৌদি আরবে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে বলে জানিয়েছে। শিগগির বিমানের ল্যান্ডিং পারমিশনও হয়ে যাবে। এ জন্য কূটনৈতিকভাবে সব পর্যায় থেকে কাজ চলছে।
বিমান ও সৌদি এয়ারলাইনস ফ্লাইট শুরু করলে এ পরিস্থিতি থাকবে না। তিনি আরও বলেন, সৌদি এয়ারলাইনসকে দেয়া সপ্তাহে দুটি ফ্লাইটের অনুমতি বাতিল করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে তাদের আরও ফ্লাইট দেয়া হবে।
অনেকের কাছে রিটার্ন টিকিট থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে যেতে পারেননি। এখন সেই টিকিট কনফার্ম করতে এসেছেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে-তারা কীভাবে যাবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
কিন্তু শতচেষ্টা করেও কেউ নতুন করে রিটার্ন টিকিট রি-ইস্যু করতে পারেননি। উপরন্তু খোলা আকাশের নিচে একরাত একদিন কাটিয়েছেন।
ঢাকায় সৌদি এয়ারলাইনসের সেলস ইনচার্জ মোহাম্মদ ওমরের বিরুদ্ধে টিকিট নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন অনেক প্রবাসী যাত্রী।
হাসান নামের এক যুবক বলেন, ‘আমার ভিসার মেয়াদ শেষ ৩০ সেপ্টেম্বর। আমাকে রিটার্ন টিকিটের রি-ইস্যু টোকেন দেয়া হয়নি গত দুদিনেও। অথচ গোপনে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে অক্টোরের যাত্রীদের দেয়া হয়েছে টোকেন। শুধু টাকার বিনিময়ে এটি সম্ভব হচ্ছে। রিটার্ন টিকিট থাকা সত্ত্বেও ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে অনেকেই টোকেন পেয়েছেন। প্রকাশ্যে এমন দুর্নীতির ভূরি ভূরি প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
সোমবার প্রবাসীদের বিক্ষোভের মুখে ১০ প্রতিনিধিকে ভেতরে নিয়ে যায় সৌদি এয়ারলাইনস। তাদের মাধ্যমে অন্যদের টিকিট সংগ্রহের সিরিয়ালের টোকেন দেয়া হয়।
তবে মঙ্গলবার কোনো ঘোষণা না দিয়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য অফিস বন্ধ করে দেয় তারা। এ কারণেই বিক্ষোভে নামেন প্রবাসীরা।
শরীয়তপুরের রাজু বলেন, ‘আমাকে গতকাল ২৭৫৪ নম্বর সিরিয়ালের একটি টোকেন দেয়া হয়েছে। আমাকে ৫ অক্টোবর এসে টিকিট সংগ্রহ করতে বলেছে। অথচ আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। এখন আমরা কী করব। আমরা বিক্ষোভ করছি আমাদের জন্য-দেশের জন্য। আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই। আমরা প্রবাসী। আমাদের সৌদি ফেরানোর ব্যবস্থা করুন।’
বরগুনার সৌদি প্রবাসী আবু হানিফ বলেন, ‘আমি কয়েক মাস ধরে দেশে আটকা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বরগুনা থেকে ঢাকায় এসেছি। প্রতিদিনই ফিরতি টিকিটের তারিখ জানতে সৌদির এয়ারলাইনসের অফিসে আসছি। তবে তারা তারিখ দিতে পারছে না। ৩০ সেপ্টেম্বর আমার ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আমরা এখানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আরেক প্রবাসীকর্মী জাহেদ হোসেন বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমার সৌদি আরবে যেতে হবে। না হলে চাকরি থাকবে না। আমার বিমানের রিটার্ন টিকিটও ছিল। কিন্তু এখন বলছে, এ সময়ের মধ্যে টিকিট দিতে পারবে না।’ সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রবাসীকর্মী বলেন, ‘আমার স্পন্সর বলছে– যেভাবে পার ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৌদি আরব এসো। না হলে আর আসতে পারবা না। কিন্তু টিকিট তো পাই না।’
সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসে শনিবার থেকেই টিকিটের জন্য ঘুরছেন প্রবাসীরা। তাদের অভিযোগ- লাইনে দাঁড়ালেও টিকিট দিচ্ছে না সৌদিয়া। রিটার্ন টিকিট থাকার পরও অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা রি-ইস্যু করতে নিচ্ছে এয়ারলাইনসটি।
একই সঙ্গে টিকিট বিক্রি করছে ৯৫ হাজার টাকায়। জহিরুল আলম নামের এক প্রবাসী বলেন, ‘ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পৌঁছাতে না পারলে অনেকেই বেকার হয়ে পড়বেন। অথচ আমরা টিকিট পাচ্ছি না। সৌদি এয়ারলাইনস লাইনে আসা প্রবাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে গোপনে বাইরে টিকিট বিক্রি করে দিচ্ছে।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে আবদুস সালাম বলেন, ‘আমাদের টিকিট আগেই কাটা, এখন রি-ইস্যু করতে কেন এত টাকা নেবে? এটা অন্যায়।’
তবে এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলেও সৌদি এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিশেষ করে এসবের মূল হোতা সৌদিয়ার সেলস ইনচার্জ ওমরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলেননি।
এদিকে আগামী ১ অক্টোবর থেকে সৌদিতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটের অনুমতি পায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। কিন্তু ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায় যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করতে পারছে না তারা।
অন্যদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইটের ঘোষণা দেয় সৌদিয়া। বিমানকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি না দেয়ায় এখনও ঝুলে আছে সৌদির ফ্লাইট পরিচালনার ভবিষ্যৎ।
ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পাওয়ার পরই সৌদি এয়ারলাইনস টিকিট বিক্রি শুরু করে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাদের প্রধান গেটের সামনে একটি কাগজে নোটিশ লিখে তারা জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইনসের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ‘প্রবাসীদের বিষয়টি আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। প্রবাসীদের ভিসার মেয়াদ বাড়াতে কাজ চলছে। এ ছাড়া সৌদি এয়ারলাইনসকে সৌদি কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে। আমাদের সিভিল এভিয়েশনও অনুমতি দিয়েছে। আর সৌদি আরব বাংলাদেশকে ফ্লাইটের অনুমতি দিলেও ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি দেয়নি। আমরা পুরো বিষয়টি সমাধানে কাজ করছি। আশা করি, দ্রতই সমাধান হয়ে যাবে।’
মঙ্গলবার কারওয়ানবাজারে সৌদি এয়ারলাইনসের সামনে সরেজমিন দেখা গেছে, সর্বত্র হৃদয়বিদারক দৃশ্য। পঁচাত্তর বছর বয়সী মো. নূরুল ইসলাম কাঁদছেন।
ছেলে মো. ইউসুফ আলীর সঙ্গে গত তিন দিন ধরে খেয়ে না-খেয়ে রোদবৃষ্টিতে ভিজছেন। ১৬ বছর ধরে ছেলে সৌদি আরব থাকেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছুটি নিয়ে দেশে এসেছিলেন।
জুনের প্রথম সপ্তাহে চলে যাওয়ার কথা ছিল। রিটার্ন টিকিটও কেটে এনেছিলেন। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। রিটার্ন টিকিট হাতে পেলেই বাবাকে নিয়ে রাজধানীতে ঘুরবেন।
কাপড় কিনে দেবেন, ডাক্তার দেখাবেন। কিন্তু শত শত প্রবাসীর সঙ্গে মঙ্গলবার তারা কারওয়ান বাজার সৌদি এয়ারলাইন্সের বুকিং কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন।
বৃষ্টিতে ভিজেই বিক্ষোভ করেছেন তারা। বিক্ষোভকারীদের একজন মো. ইউসুফ আলী। গত শনিবার বরিশাল থেকে বৃদ্ধ বাবা নূরুল ইসলামকে নিয়ে প্লেনের রিটার্ন টিকিট কনফার্ম করতে ঢাকায় আসেন।
মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বুকিং কার্যালয়ের বাইরের গেটের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।