বৈশ্বিকভাবে ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিং নির্ধারণের অন্যতম মাপকাঠি হলো ম্যানেজমেন্ট ইফিশিয়েন্সি বা ব্যবস্থাপনা দক্ষতা। এ দক্ষতা নিরূপণে অন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ‘কস্ট টু ইনকাম রেশিও’ বা ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের অনুপাতকে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর সিংহভাগেরই আয়-ব্যয়ের অনুপাত সন্তোষজনক অবস্থায় নেই।
১০০ টাকা আয় করতে গিয়ে কত টাকা খরচ হয়, সেটিই হলো আয়-ব্যয় অনুপাত। কোনো ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৪৫ শতাংশের বেশি হলে সেটিকে অসন্তোষজনক বলেই ধরা হয়। যদিও দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর বড় একটি অংশেরই আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৫০ শতাংশের বেশি। এ উচ্চব্যয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ব্যাংকগুলোর মুনাফায়। বড় অংকের পরিচালন আয় করেও মুনাফা ঘরে তুলতে পারছে না ব্যাংকগুলো।
দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮টি ব্যাংকের গত পাঁচ বছরের (২০১৫-২০১৯) আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছে বণিক বার্তা। এ পাঁচ বছরে ব্যাংকগুলোর পরিচালন আয় ও পরিচালন ব্যয়ের অনুপাতের গড় হিসাব করে দেখা গেছে, ১৩টি ব্যাংকের আয়-ব্যয় অনুপাত ৫০ শতাংশের বেশি। মাত্র একটি ব্যাংকের আয়-ব্যয় অনুপাত ৪০ শতাংশের নিচে।
ব্যবস্থাপনা দক্ষতা নিরূপণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আয়-ব্যয়ের অনুপাত। বৈশ্বিক মান অনুসারে, কোনো ব্যাংকের আয়-ব্যয় অনুপাত ২৫ শতাংশ বা এর কম হলে সেই ব্যাংকের অবস্থান বেশ শক্তিশালী। আয়-ব্যয় অনুপাত ২৬-৩০ শতাংশ হলে ব্যাংকের অবস্থান সন্তোষজনক, ৩১-৩৮ শতাংশে হলে তা চলনসই, ৩৯-৪৫ শতাংশ হলে প্রান্তিক এবং ৪৫ শতাংশ বা তার বেশি হলে অসন্তোষজনক বলে গণ্য করা হয়। এ মানদণ্ডে শক্তিশালী ও সন্তোষজনক অবস্থানে নেই দেশের তালিকাভুক্ত কোনো ব্যাংক। চলনসই অবস্থানে রয়েছে একমাত্র সাউথইস্ট ব্যাংক। আর প্রান্তিক অবস্থানে আটটি এবং অসন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে বাকি ১৯টি ব্যাংক। এ পরিস্থিতিকে দেশের ব্যাংকিং খাতের বড় দুর্বলতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা দক্ষতা মোটেই সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো সাজসজ্জায় বিপুল অপব্যয় করে। অনেক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও শাখায় গেলে মনে হয় রাজপ্রাসাদ। বিভিন্ন ধরনের অপব্যয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো আয়ের বড় অংশই ব্যয় করে ফেলে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে ব্যাংকের গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের ওপর।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংকগুলো আয় বাড়ানোর জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের অযাচিত ফি আরোপ করছে। আমানতকারীদের সর্বনিম্ন সুদ দিয়ে বঞ্চিত করার পাশাপাশি ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে বেশি সুদ আদায় করছে। ১০০ টাকা আয় করতে গিয়ে যদি ৫০ টাকাই ব্যয় হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ব্যবস্থাপনায় বড় ত্রুটি আছে। দেশের ব্যাংকগুলোর ক্যামেলস রেটিংয়ে উন্নতির জন্য ম্যানেজমেন্ট ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে হবে।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে আয়-ব্যয়ের অনুপাত সবচেয়ে কম সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের। ১০০ টাকা আয় করতে বেসরকারি এ ব্যাংকটি ব্যয় করে ৩৪ টাকা ৩৫ পয়সা। ২০১৫-১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর গড়ে ব্যাংকটির আয়-ব্যয় অনুপাত এটি। অন্যদিকে ১০০ টাকা আয় করতে গিয়ে পাঁচ বছরে গড়ে ৮৬ টাকার বেশি ব্যয় করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। আয়-ব্যয়ের অনুপাতে ব্যাংকটির অবস্থান সবচেয়ে খারাপ।
২০১৯ সালে ১ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা পরিচালন আয় করেছে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। এ পরিমাণ অর্থ আয় করতে গিয়ে ব্যাংকটির পরিচালন ব্যয় হয়েছে ৫৪০ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত বছর সাউথইস্ট ব্যাংকের আয়-ব্যয় অনুপাত ছিল ৩৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ। যদিও গত পাঁচ বছরে ব্যাংকটির আয়-ব্যয় অনুপাতের গড় ছিল ৩৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২৮টি ব্যাংকের মধ্যে সর্বনিম্ন।
কম ব্যয়ে বেশি আয়ের বিষয়ে সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামাল হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, আমরা অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ের লাগাম টেনে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ব্যাংকের কর্মীদের বেতন কাঠামোও উচ্চাভিলাষী নয়। ফলে ব্যাংকের পরিচালন আয়ের বড় অংশই মুনাফায় নেয়া সম্ভব হচ্ছে। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খেলাপি ঋণ। মন্দ ঋণ কমাতে পারলে দেশের ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্য অনেক ভালো দেখাত।
কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে আয়-ব্যয় অনুপাত কমিয়ে আনতে পেরেছে ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। ২০১৫ সালে ব্যাংকটির আয়-ব্যয় অনুপাত ছিল ৪৮ শতাংশের বেশি। ২০১৯ সালে তা ৩৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পেরেছে ট্রাস্ট ব্যাংক। ব্যাংকটির গত পাঁচ বছরের আয়-ব্যয়ের গড় অনুপাত ৪১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
চলতি বছরে আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৩৩ দশমিক ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানান ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মঈনউদ্দীন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে ট্রাস্ট ব্যাংকের কর্মীপ্রতি আয় ছিল ৩১ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে কর্মীপ্রতি আয় ৪০ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে আমাদের ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের অনুপাতে। ধারাবাহিকভাবে এ অনুপাত কমে সেপ্টেম্বর শেষে ৩৩ দশমিক ৬৫ শতাংশে নেমেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাতের দিক থেকে বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতে আমরাই চ্যাম্পিয়ন।
ফারুক মঈনউদ্দীনের ভাষ্য, ব্যবসার প্রবৃদ্ধির জন্য যতটুকু ব্যয় দরকার, আমরা ঠিক ততটুকুই করছি। ট্রাস্ট ব্যাংকের কোনো অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নেই। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছ সাধন আমাদের ব্যাংকের বড় সফলতা।
শরিয়াহভিত্তিক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের গত পাঁচ বছরে আয়-ব্যয়ের গড় অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৯১ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ব্যাংকটির আয়-ব্যয় অনুপাত ছিল ৪৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের অনুপাত গত পাঁচ বছরে গড়ে ৪২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর ২০১৯ সালে ব্যাংকটির আয়-ব্যয়ের অনুপাত ছিল ৪২ দশমিক ১০ শতাংশ।
গত পাঁচ বছরের গড় হিসাবে ঢাকা ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৭৩ শতাংশে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির আয়-ব্যয়ের অনুপাত ছিল ৪৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
আয়ের অনুপাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের। গত পাঁচ বছরে গড়ে ব্যাংকটির আয়-ব্যয়ের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকটির ১০০ টাকার আয়ের মধ্যে ৮৭ টাকাই ব্যয় হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ব্যাংকটির আয়-ব্যয়ের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উচ্চ পরিচালন ব্যয় কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ্ আল্ মাসুদ। তিনি বলেন, বেশকিছু খাতে ব্যয় কমানোর জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। আবার মহামারী নতুন কিছু খাতে ব্যাংকের ব্যয় বাড়িয়ে দিয়েছে। তার পরও ব্যাংকের মুনাফা বাড়ানোর জন্য ব্যয় কমাতেই হবে।
ব্যয়ের দিক দিয়ে এর পরই রয়েছে উত্তরা ব্যাংক। গত পাঁচ বছরে গড়ে ব্যাংকটির আয়-ব্যয়ের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর সর্বশেষ ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ৭২ দশমিক ১০ শতাংশ।
পরিচালন আয়ের দিক থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলোর একটি ডাচ্-বাংলা। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির পরিচালন আয় ছিল ২ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু বিপুল এ আয়ের ৫৮ শতাংশই পরিচালন ব্যয়ে চলে গিয়েছে ব্যাংকটির। এক্ষেত্রে ব্যাংকটির পরিচালন ব্যয় ছিল ১ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। ২০১৫-১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের আয়-ব্যয়ের গড় অনুপাত ৬২ শতাংশেরও বেশি, যা উচ্চব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
বিপুল এটিএম বুথ ও ফাস্টট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণ, মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালন করতে গিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যয় বাড়ছে বলে জানান ব্যাংকটি এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এ শীর্ষ নির্বাহী বলেন, ব্যাংকের ব্যয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। চাইলেই আমরা এ ব্যয় কমিয়ে আনতে পারি। কিন্তু আমরা শুধু মুনাফার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি না। শিক্ষা খাতের সবচেয়ে বেশি বৃত্তিসহ সিএসআরের বিভিন্ন খাতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বিপুল অর্থের ব্যয় হয়। দেশের প্রতিটি উপজেলায় আমাদের এটিএম বুথ ও ফাস্টট্র্যাক রয়েছে। এর পেছনে আয়ের চেয়ে আমাদের ব্যয় বেশি। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়েও আমাদের বিপুল ব্যয় হচ্ছে। এসব কারণে আমাদের আয়-ব্যয় অনুপাত বেশি। শুধু মুনাফার চিত্র না দেখে আমাদের জনগণের জন্য দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও পরিমাপ করা দরকার।
বিদেশী বিনিয়োগের দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের আয়-ব্যয় অনুপাতের পাঁচ বছরের গড় দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ১১ শতাংশে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে এ অনুপাত ছিল ৬৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর ২০১৫ সালে আয়-ব্যয় অনুপাত ছিল ৬১ দশমিক ১১ শতাংশ। এর পরের দুই বছরে এটি কিছুটা কম থাকলেও ২০১৭ সাল থেকেই ৬০ শতাংশের ওপরে উঠে যায়। মূলত এসএমই ঋণের ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ব্যাংকটি আয়-ব্যয়ের অনুপাতে অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের গত পাঁচ বছরে আয়-ব্যয়ের অনুপাতের গড় দাঁড়িয়েছে ৫৫ দশমিক ৯৬ শতাংশে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে এটি ছিল ৫৪ শতাংশ।
আয়-ব্যয়ের অনুপাত নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে নেই মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকও। ২০১৯ সালেও ব্যাংকটির এ অনুপাত ছিল ৫৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গড় আয়-ব্যয় অনুপাত প্রায় ৫৪ শতাংশ। বিপুল পরিচালন ব্যয় ব্যাংকটির আয়ের খাতকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে মনে করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, নানা কারণে অনেক আগে থেকে আমাদের আয়-ব্যয়ের অনুপাত বেশি। ব্যয় কমিয়ে আনার জন্য আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ নিয়েছি। তবে রাতারাতি ব্যাংকের ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। এজন্য ধীরে ধীরে আমরা ব্যয় কমিয়ে মুনাফা বাড়ানোর দিকে এগোচ্ছি।
এছাড়া গত পাঁচ বছরের গড় অনুসারে আয়-ব্যয় অনুপাত ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৫৪ দশমিক ৬৮, এবি ব্যাংকের ৫৩ দশমিক ৯৭, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৫৩ দশমিক ৮৬, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৫৩ দশমিক ৬৯, প্রাইম ব্যাংকের ৫৩ দশমিক ১৯, সিটি ব্যাংকের ৫২ দশমিক ৩৬, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫১ দশমিক ৬৪, ইসলামী ব্যাংকের ৫০ দশমিক ৫৩, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৪৯ দশমিক ৯৪, যমুনা ব্যাংকের ৪৯ দশমিক ৬১, পূবালী ব্যাংকের ৪৯ দশমিক ৪৩, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ৪৯ দশমিক ৩৮, ওয়ান ব্যাংকের ৪৮ দশমিক ৪৩, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ৪৮ দশমিক ৩৩, এক্সিম ব্যাংকের ৪৪ দশমিক ৮৪, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) ৪৪ দশমিক ৫৪, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (এসআইবিএল) ৪৩ দশমিক ৬৫ ও ব্যাংক এশিয়ার ছিল ৪৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।