ঢাকা, ২ চলচ্চিত্র শিল্পের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সার্বিক কল্যাণ এবং তাদের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে আজ সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘অসচ্ছল ও অক্ষম শিল্পীদের কল্যাণ ও চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আইনটি তৈরি করা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘এই আইনের মূল লক্ষ্য হবে চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ সাধন, তাদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ, অসচ্ছল, পেশাগত কাজে অক্ষম শিল্পীদের প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান ও অসচ্ছল শিল্পীদের মৃত্যু হলে তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান।’
সচিব বলেন, ‘এই ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য একটি পরিচালনা বোর্ড থাকবে। যার চেয়ারম্যান থাকবেন তথ্যমন্ত্রী। সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকও থাকবেন এখানে।’
তিনি বলেন, এই ট্রাস্টের আওতায় একটি তহবিল থাকবে। সেখানে ফান্ড তৈরি করে কার্যক্রম চলবে। তহবিলে একটি সিডমানি দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে বাজেট থেকে বাৎসরিক একটা বরাদ্দ দেয়া হবে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট নামে আরেকটি আইন রয়েছে। যে সমস্ত চলচ্চিত্র শিল্পীরা এই আইনের আওতায় থাকবেন তারা ওই আইনের আওতায় কোন সহায়তা পাবেন না, বলেন তিনিকেবিনেট সচিব বলেন আজকের বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারীর অভিঘাত মোকাবেলায় কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। বৈদেশিক সহায়তা সম্পর্কেও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। পাশাপাশি, বৈশ্বিক মহামারী চলাকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে ও মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।এদিকে, কেবিনেটে অনির্ধারিত আলোচনায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায সরকারের সকল স্তরে গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আলোচনার সময় ব্যাপকভাবে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসে।
প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সকলকে এই বিষয়টি সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য নির্দেশ দেন এবং মাস্ক ব্যবহার না করার কারণে মোবাইল কোর্টে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন বলেও খন্দকার আনোয়ার উল্লেখ করেন।