মুন্সীগঞ্জ,: পদ্মা সেতুর ৩৯ তম স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে। এতে দৃশ্যমান হয়েছে ৫ হাজার ৮৫০ মিটার।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মোঃ আব্দুর কাদের বলেন, ৩৮তম স্প্যানটি বসানোর ৭ দিনের মাথায় আজ দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে আরও একটি স্প্যান বসানো হলো। সেতুর ৩৯তম স্প্যানটি মাঝ নদীতে বসায় দৃশ্যমান হলো ৫ দশমিক ৮৫০ কিলোমিটার। ২-ডি নামের স্প্যানটি ১০ ও /১১ খুঁটির ওপর বসানোর হয়। এর আগে সকাল ৯টায় মাওয়া কুমারভোগের কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান ই’ নামের ভাসমান জাহাজ স্প্যানটি নিয়ে রওয়ানা হয় খুটির উদ্দেশে। ৪০ তম ‘২-ই’ নামের স্প্যানটি ১১ ও ১২ নং খুঁটির ওপর এবং ৪১ তম ‘২-এফ’ নামের স্প্যানটি ১২ ও ১৩ নম্বর খুটির ওপর বসলেই পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
তিনি বলেন, মাওয়া প্রান্তে স্প্যান বসানোর জটিলতার কারণে স্প্যান বসানো শুরু হয় জাজিরা প্রান্ত থেকে। কিন্তু প্রথম কাজ শুরু হয়েছিল মাওয়া প্রান্তে। প্রথম স্প্যানটিও আনা হয়েছিল মাওয়া প্রান্তের ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির জন্য। কিন্তু নদীর তলদেশের গভীরে মাটি নরম থাকায় খুঁটির নশকা পরিবর্তন করতে হয়। তাই স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয় জাজিরা থেকে।
সেতুর ৪২টি খুাটর ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। এর মধ্যে বসে গেছে ৩৯ টি স্প্যান। এর মধ্যে জাজিরা প্রান্তের সবগুলো অর্থাৎ ২০টি স্প্যান বসানো হয়ে গেছে। আর মাওয়া প্রান্তে বসানো হয়েছে ১৮টি স্প্যান। একটি স্প্যান বসেছে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মাঝখানে। আর ২টি স্প্যান বসানো এখনও বাকী আছে।
এবার সেতুর দুই প্রান্ত জোড়া লাগার পালা। পুরো সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে যে ২টি বাকি, তার সবই এখন একসঙ্গে মাঝ নদীতে। ধারাবাহিকভাবে এখন সেগুলো বসানো হবে। চলতি মাসে এর মধ্যে বসানো হয়েছে ৪টি স্প্যান। বাকি থাকবে মাত্র দুটি। সেগুলোও বসিয়ে দেওয়া হবে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে। এদিকে স্প্যান বাসানো ছাড়া অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে সেতুতে ১ হাজার ৮৪৮টি রেলওয়ে স্লাব ও ১ হাজার ২৩৮টি রোডওয়ে স্লাব বসানো হয়েছে।
মূলসেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেয়া হবে।