স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরুতে সহায়তার অংশ হিসেবে তাদের অর্থায়নে আরও পাঁচ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে) প্রায় ৪২৫ কোটি টাকা।
করোনায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চলমান ‘মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এ ঋণের অর্থ বিতরণ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফ ইতোমধ্যে তাদের ৭৭টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সারাদেশের ৩৯ হাজার ৫৮০টি ক্ষুদ্র উদ্যোগে অর্থায়ন করেছে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকায় ৯১ হজার ৪৩০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। এডিবি আশা করছে, নতুন ঋণের অর্থে পিকেএসএফ কোভিড-১৯ মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত আরও ৩০ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোগে অর্থায়ন করতে পারবে, যেগুলোর ৭০ শতাংশ নারীদের দ্বারা পরিচালিত। বিজ্ঞপ্তিতেবলা হয়, এই অতিরিক্ত অর্থায়ন গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা করবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার পাশাপাশি তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে এবং তাদের কর্মীদের ধরে রাখতে সহায়তা করবে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে এডিবি প্রধান বিশেষজ্ঞ (বাংলাদেশ) জ্যোৎস্না ভার্মা বলেন, প্রকল্পটি ক্ষুদ্র সংস্থাগুলোর অর্থায়নে প্রবেশাধিকার বাড়াবে এবং দেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বৃদ্ধিতে আরও অবদান রাখবে। এডিবির বাংলাদেশ প্রিন্সিপাল কান্ট্রি স্পেশালিস্ট জ্যোৎস্না ভার্মা বলেন, চলমান প্রকল্পে নতুন অর্থায়নে গ্রামীণ অর্থনীতিতে তারল্য সরবরাহ বাড়বেপ্রকল্পটি ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী সংস্থাগুলোর অর্থায়নের সক্ষমতা বাড়ানো এবং দেশে ক্ষুদ্র ব্যবস্থা প্রসারে আরও ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী ১২০টি সংস্থার সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।