ইয়েমেনের এডেন বিমানবন্দরে এক বিস্ফোরণে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এটা হুতি বিদ্রোহীদের কাপুরুষোচিত হামলা বলে আখ্যায়িত করেছেন কর্মকর্তারা।
দেশটির আন্তর্জাতিক সমর্থিত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলে নতুন গঠিত সৌদি আরব সমর্থিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে একটি বিমান অবতরণের কয়েক মিনিট পর এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির খবরে এমন তথ্য মিলেছে। যদিও সরকারি মন্ত্রীরা সবাই অক্ষত আছেন। আরও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রেডক্রোস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তাদের একজন কর্মী আছেন, আহত তিন।
আইসিআরসির অপারেশন পরিচালক ডমিনিক স্টিলহার্ট বলেন, গত পাঁচ বছরে ইয়েমেনি জনগণ মারাত্মক যন্ত্রণাকাতর জীবন করেছেন। আজকের এই হামলা তাদের দুঃখকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
প্রাথমিক বিস্ফোরণের পর বিমানবন্দর থেকে কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। পুরো এলাকাজুড়ে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। আহতদের উদ্ধারে লোকজন যখন যাচ্ছিল, তখন দ্বিতীয়বারের বিস্ফোরণ ঘটে।
এএফপির এক ভিডিও ফুটেজে বিমানবন্দরের অ্যাপরনে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে দেখা গেছে। এর আগে সেখানে মানুষের ভিড় ছিল।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বলছে, একটি হুতি ড্রোন আল-মাশিক প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আঘাত হানতে গেলে সেটি ধ্বংস করা হয়েছে।
ইয়েমেনের পাঁচ বছরের এই যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আর ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। জাতিসংঘের ভাষায়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানবিক বিপর্যয় চলছে ইয়েমেনে।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী মোয়াম্মার আল ইরয়ানি বলেন, নতুন সরকারের সব সদস্য অক্ষত বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। হামলার জন্য হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি যে, ইরান-সমর্থিত হুতিদের হামলা দেশের জন্য কাজ করা থেকে আমাদের বিরত রাখতে পারবে না।