মডার্নার টিকার তীব্র এলার্জিক প্রতিক্রিয়া খুব একটা দেখা যায়নি।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ শুক্রবার এ কথা জানিয়ে বলেছে, ৪০ লাখ প্রথম ডোজ প্রয়োগের পর মাত্র ১০ জনের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
দ্য সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন করোনা মহামারি মোকাবেলায় ব্যাপক হারে টিকা দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
একইসঙ্গে সিডিসি প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এক রিপোর্টে জানিয়েছে, মডার্নার টিকার তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং মৃত্যুর মতো কোন ঘটনা ঘটেনি বলে এতে আভাস দেয়া হয়েছে।
সিডিসি’র উপাত্ত থেকে জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ লাখ ৪১ হাজার ৩৯৬ জনকে প্রথম ডোজ দেয়ার পর মাত্র ১০ জনের শরীরে পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এদের ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। বাকী ৪ জনকে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সিডিসি’র গবেষণায় দেখা গেছে, পার্শ¦প্রতিক্রিয়ার হার মডার্নার টিকায় ১০ লাখে ২ দশমিক ৫ এবং ফাইজারের টিকায় ১১ দশমিক ১। মডার্নার টিকায় যে ১০ জনের শরীরে তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তাদের সকলেই নারী। তাদের বয়স ৩১ থেকে ৬৩ বছরের মধ্যে। এদের নয় জনেরই পূর্বের এলার্জি রেকর্ড রয়েছে।
এদিকে ফাইজারের টিকাতেও যাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই নারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি ভ্যাকসিন দেয়া এর কারণ হতে পারে।