ঢাকা, : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দশ দিনের আয়োজনের প্রথমদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে সস্ত্রীক ঢাকায় পৌঁছেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ।
বুধবার সকাল সাড়ে আট টার দিকে মালদ্বীপের রাষ্ট্র প্রধানকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলান্সের একটি বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়। বিমান বন্দরে তাঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসস’কে জানান, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মালদ্বীপের রাষ্ট্র প্রধান ও তাঁর পত্নীকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানমও এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
সাধারনত ফুল দিয়ে বরণ করার রেওয়াজ থাকলেও করোনাভাইরাসে মহামারীর কারণে তা হয়নি। করমর্দনও করেননি দুই রাষ্ট ্রপ্রধান। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্ব নেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এলেন।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ২১ বার তোপধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ইব্রাহিম সলিহকে। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। গার্ড পরিদর্শন শেষে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে লাইন অব প্রেজেন্টেশনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।
বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও রাষ্ট্রপতির সচিব।
সফর উপলক্ষে বিমানবন্দর এলাকা বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। টার্মিনালের উপরে এবং সামনে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের বিপুল সংখ্যক পতাকা রয়েছে সেই সাজে।
ভিভিআইপি টার্মিনালের দু’পাশে দুই রাষ্ট্র প্রধানের দুটি বড় ছবি স্থাপন করা হয়েছে এবং টার্মিনালের উপরে বড় করে লেখা ছিল ‘স্বাগতম হে মহামান্য অতিথি’। এর সঙ্গে ইংরেজি অনুবাদও রয়েছে।
তিনদিনের এই সফরের প্রথমদিন বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও থাকবেন।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর তার সম্মানে বঙ্গভবনে একটি রাষ্ট্রীয় ভোজে যোগ দেবেন তিনি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন। সফর শেষে ওই দিনই রাতেই দেশে ফিরে যাবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।